ভূমিকম্পের পর আরও হেলে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা এলাকার একটি চারতলা ভবন। রহমান ভিলা নামের ওই ভবনটি আগেই কিছুটা হেলে ছিল। শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পের পর সেটি আরও হেলে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনের গায়ে ঠেকেছে। তবে বিকেল নাগাদ হেলে পড়া ভবনের বিষয়ে ভবন মালিক বা সংশ্লিষ্টদের কোনো পদক্ষেপ নজরে আসেনি।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানার কাপাসঘোলা এলাকায় অবস্থিত ভবনটির মালিকের নাম মো. ফরিদ উদ্দিন। আগে থেকে ভবনটি সামান্য হেলানো ছিলো। তবে শুক্রবার ভোরে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ভবনটি আরও হেলে পড়ে এবং পাশের আরেকটি ভবনের সঙ্গে ঠেকে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত হেলে পড়া ভবনটির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি ভবন মালিক বা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। আর এতে দুই ভবনের বাসিন্দারাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
পাশের ভবনের বাসিন্দা এনামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখনও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ভবনের মালিক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমার ভবন মোটামুটি শক্ত আছে। আগে থেকে একটু হেলানো ছিলো। ভূমিকম্পের পর আরেকটু হেলে পড়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা একটু আগে শুনেছি। কালুরঘাট ফায়ার স্টেশন থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫.৮ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ৪১ সেকেন্ড স্থায়ী মাঝারি মাত্রার এ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ঢাকার আগারগাঁও ভূমিকম্প পরিমাপক কেন্দ্র থেকে ৩৪৭ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে। আর চট্টগ্রাম থেকে উৎসস্থলের দূরত্ব ছিল ১৭৪ কিলোমিটার।
মিজানুর রহমান/এমকেআর/এমএস
Advertisement