যে কোনো সময়ই ভূমিকম্প হতে পারে। পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো অংশের হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তনের ফলে কিংবা ভূ অভ্যন্তরের একটি শিলা অন্য একটি শিলার উপরে উঠে আসলে ভূমিকম্প হয়।
Advertisement
সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে, ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন জনিত কারণে, আগ্নেয়গিরি সংঘটিত হওয়ার কারণে ও শিলাচ্যুতিজনিত কারণে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮।
ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব সাধারণত কয়েক সেকেন্ড হয়ে থাকে। তবে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হলে এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটতে পারে প্রলয়কাণ্ড। যদিও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া খুবই জটিল।
Advertisement
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ভূমিকম্পের জন্য শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় আছে। এ কারণে সবারই ভূমিকম্পের বিষয়ে সচেতনতা হওয়া জরুরি। যাতে প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। জেনে নিন ভূমিকম্পের সময় করণীয়-
ভূমিকম্পের সময় বাড়ির ভেতর থাকলে-
>> ড্রপ, কাভার ও হোল্ড অন পদ্ধতিতে মেঝেতে বসে পড়ুন। কোনো মজবুত আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন। কিছুক্ষণ সেখানেই বসে থাকুন। হেলমেট থাকলে পরে নিন কিংবা হাত দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।
>> বিছানায় শুয়ে থাকলে মাথার উপরে বালিশ রাখুন। ঘরের ভেতরের দিকের দেওয়ালের কাছে বসে আশ্রয় নিন।
Advertisement
>> ঘরের বাইরের দিকের দেয়াল বা কাচের জানালা বিপজ্জনক। এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
>> বহুতল ভবনের ওপরের দিকে অবস্থান করলে ভূমিকম্প না থামা পর্যন্ত ঘরের ভেতরেই থাকুন। ভূমিকম্প থেমে গেলে বের হয়ে আসুন।
>> ঘর থেকে নিচে নামতে চাইলে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে নামুন।
>> গ্যাসের সামান্যতম গন্ধ পেলে জানালা খুলে বের হয়ে যান ও দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করুন।
>> কোথাও বৈদ্যুতিক স্পার্ক চোখে পড়লে মেইন সুইচ বা ফিউজ বন্ধ করে দিন। ক্ষতিগ্রস্ত বিল্ডিং থেকে সাবধান থাকুন। অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।
বাড়ির বাইরে থাকলে-
>> ঘরের বাইরে থাকলে নিরাপদ স্থান খুঁজে আশ্রয় নিন। বহুতল ভবনের প্রান্তভাগের নিচে বা পাহাড়-পর্বতের নিচে কোনোভাবেই দাঁড়াবেন না।
>> লাইটপোস্ট, বিল্ডিং, ভারী গাছ অথবা বৈদ্যুতিক তার ও পোলের নিচে দাঁড়াবেন না। এমনকি রাস্তায় কখনো ছোটাছুটি করবেন না।
>> চলমান গাড়িতে থাকলে তা থামিয়ে ফেলুন। তারপর গাড়ির ভেতরেই থাকুন। কখনো ব্রিজ ও ফ্লাইওভারে থামবেন না। বহুতল ভবন কিংবা বিপজ্জনক স্থাপনা থেকে দূরে গাড়ি থামান।
>> আগুন জ্বালাবেন না। বাড়িতে গ্যাসের লাইন লিক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
>> ধুলাবালির মধ্যে পড়লে কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন।
>> উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকুন। জরুরি অবস্থার জন্য রাখা জিনিসপত্র কাজে লাগান।
জেএমএস/জিকেএস