দেশজুড়ে

বাবা চেয়ারম্যান, চার ভাইবোন হতে চান মেম্বার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বাবা চেয়ারম্যান ও চার ভাইবোন মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আবদুর রশীদ মোল্লা। তার দুই ছেলে ইউপি সদস্য ও দুই মেয়ে সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

Advertisement

এর মধ্যে দুই ভাই একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চলছে তাদের প্রতিযোগিতামূলক প্রচারণা।

আবদুর রশীদ মোল্লা উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইলেও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজীকে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী নির্বাচন করায় ১৯ নভেম্বর রশিদ মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রশিদ মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা (ফুটবল) ও দিদার হোসেন মোল্লা (ঘুড়ি) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়ে তাহমিনা আক্তার ঝর্ণা সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ও জোসনা বেগম সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দুজনের প্রতীক মাইক। একই পরিবারের ৫ জনের নির্বাচন নিয়ে এলাকায় ভোটারদের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে।

Advertisement

এছাড়াও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রশিদ মোল্লার ভাতিজা আবু সুফিয়ান মোল্লা (মোরগ) সদস্য পদে ভোট করছেন।

রাজ্জাক হোসেন, রিয়াজ হোসেনসহ কয়েকজন ভোটার জানান, এ ওয়ার্ডে জাকির ও দিদার দুই ভাই মেম্বার পদের লড়ছেন। পাল্লা দিয়ে দুজনে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের বাবা চেয়ারম্যান প্রার্থী৷ তিনিও নিজের জন্য ভোট চেয়ে মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন।

কয়েকজন নারী ভোটার জানায়, দুই বোন সংরক্ষিত দুটি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। তারা যেমন আপন বোন, তেমনি তাদের প্রতীকেরও মিল রয়েছে। ভোটের ফলাফলে তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলবে।

জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ভোটাররা আমার পাশে আছে। মাঠে বিপুল সাড়া পেয়েছি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমিই মেম্বার নির্বাচিত হব।

Advertisement

অন্যদিকে দিদার হোসেন মোল্লা বলেন, ভোট দেওয়ার মালিক জনগণ। তাদের পরামর্শেই আমি নির্বাচনে নেমেছি। শেষ পর্যন্ত থাকবো।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ মোল্লা বলেন, দলের জন্য অনেক ত্যাগ রয়েছে। কিন্তু দল থেকে আমাকে মূল্যায়ন করেনি। জনগণের সাড়া পেয়ে ভোটের মাঠে নেমেছি। সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ আমাকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে।

ছেলেমেয়েদের নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে রশিদ মোল্লা বলেন, জনগণের সেবার জন্য তারা ভোটের মাঠে নেমেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের প্রমাণিত করে তারা জনগণের সেবা করতে চেয়েছে। নির্বাচন এর অন্যতম মাধ্যম। আমি তাদের উদ্যোগকে সমর্থন করেছি।

কাজল কায়েস/আরএইচ/জিকেএস