২০২৩ সালের আগে আসছে না ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন। শিশুদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত চলমান বিতর্কের জেরে পেছাচ্ছে এ পরিকল্পনা। এ বছরের শুরুতেই ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছিল ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন আনার।
Advertisement
সম্প্রতি ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, অ্যাপগুলোতে মেসেজিং এনক্রিপশন সুবিধা ২০২৩ সালে পাওয়া যাবে। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রক্রিয়ায় শুধু প্রেরক ও প্রাপক পরস্পরের বার্তা পড়তে পারবে। এর মাঝখানে তৃতীয় পক্ষ, যেমন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা মেটা কেউই সেসব পড়তে পারবে না।
আর এজন্য শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা এবং রাজনীতিবিদরা নড়েচড়ে বসেন। তারা সতর্ক করে বলেছেন, এতে শিশু নির্যাতনের তদন্তে পুলিশকে ঝামেলায় পড়তে হবে।
ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু চিলড্রেন দাবি করেছে, ব্যক্তিগত মেসেজিং সেবা হচ্ছে- ‘শিশু যৌন নির্যাতনের প্রথম ধাপ’। ফলে তদন্তের স্বার্থে পুলিশের এটি দেখার ক্ষমতা থাকা উচিত।
Advertisement
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে কার্যকর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অনলাইন নিরাপত্তা বিল, যা শিশুদের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন হবে। সেই সঙ্গে আপত্তিজনক বিষয়বস্তুকেও অবিলম্বে মোকাবিলা করা যাবে।
সূত্র: বিবিসি
কেএসকে/জেআইএম
Advertisement