আন্তর্জাতিক

জার্মানিতে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড, মৃত্যু লাখ ছাড়ালো

জার্মানিতে নতুন করে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এরই মধ্যে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯১৫। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৪৮১ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪শ জন।

Advertisement

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে দেশটির গণস্বাস্থ্য সংস্থা রবার্ট কোচ ইন্সটিটিউট (আরকেআই) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরকেআই এক ঘোষণায় জানিয়েছে, প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৪১৯.৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে, যা এক সপ্তাহের হিসাবে সর্বোচ্চ।

কিছুদিন আগেও ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানির অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকহারে বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যেই হাসপাতালগুলোর ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে।

Advertisement

ক্রমবর্ধমান এই স্বাস্থ্য সংকট নতুন জোট সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ইউরোপের দেশগুলোতে ২৫ লাখের বেশি নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

সামনের দিনগুলোতে করোনা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু অংশে মার্চের মধ্যে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে করোনায়। সে হিসেবে শুধু ইউরোপে করোনায় মৃত্যু ২২ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা। ইউরোপে করোনার সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে, ইউরোপে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার দুইশোতে দাঁড়িয়েছে, যা গত সেপ্টেম্বর মাসে দৈনিক মৃত্যুর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। যুক্তরাজ্যসহ গোটা ইউরোপে মোট মৃত্যু এখনই ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’ বলছে ডব্লিউএইচও। বলা হচ্ছে, ইউরোপের ৫৩টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশেই করোনা পরিস্থিতি ‘অতিমাত্রায় উদ্বেগজনক’।

Advertisement

এদিকে গত সপ্তাহে কড়াকড়ি আরোপ করেছে জার্মানি। লোকজনকে গণপরিবহন অথবা কর্মক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের সনদ দেখাতে হচ্ছে অথবা করোনা থেকে সুস্থ বা করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল দেখাতে হচ্ছে। জার্মানিতে ভ্যাকসিন গ্রহণের হার ৬৯ শতাংশ। অপরদিকে ফ্রান্সে ৭৫ শতাংশ।

টিটিএন/জিকেএস