সবাই দীর্ঘায়ু পেতে চান। এর জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর উপায়ে সুস্থভাবে জীবনযাপন। সুস্থভাবে বাঁচতে প্রথমেই বাদ দিতে হবে ধূমপান ও মদ্পানের অভ্যাস। আর ভালো রাখতে হবে মন। মনে রাখবেন, মানসিক চাপও কমিয়ে দেয় আয়ু।
Advertisement
দীর্ঘায়ু পেতে এসবের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, মিষ্টি ও নোনতা খাবারও পাতে রাখা যাবে না। নিয়ম করে খেতে হবে কয়েকটি খাবার। নিয়মিত এ খাবার খেলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. জেমস ডিনিকোলান্টোনিও সম্প্রতি কার্যকরী খাবারে একটি তালিকা দিয়েছেন। খাবারগুলো হলো-
মধু: হৃদরোগ ও ক্যানসারের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে পারে মধু। নিয়মিত এক চামচ খাঁটি মধু খেলে এ অসুখের ঝুঁকি কমে যায়। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব হেলথে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়, স্তন, যকৃত ও অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায় মধু খেলে।
Advertisement
ছাগলের দুধ: ছাগলের দুধেও এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলো ক্যানসার প্রতিহত করতে সাহায্য করে। একাধিক টেস্ট টিউব গবেষণায় এটি প্রমাণিত। জার্নাল অব মেডিসিনাল ফুডে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে নারীরা নিয়মিত ছাগলের দুধ খান, তাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তবে কতটুকু খাবেন, তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।
বেদানা: বেদানার নানা ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। বেদানা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। বেদানার কয়েকটি উপাদান পেশী ক্ষয়ের পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিতে পারে। নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানা গেছে, বেদানায় থাকা মাইটোকন্ড্রিয়া নামক অণু পেশীর স্বাস্থ্য উন্নত রাখে। এ ছাড়াও বার্ধক্যজনিত নানা অসুখসহ স্নায়ুর নানা সমস্যাও কমিয়ে দিতে পারে।
কাঁচকলা: কাঁচকলার নানা উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সবুজ কলায় এক ধরনের প্রিবায়োটিক উপস্থিত আছে, যা অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, একটি সবুজ কলা খেলে কিডনির ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়।
গাঁজন: গাঁজন দেওয়া খাবার বিপাকীয় হার পরিবর্তন করে। ফলে পাকস্থলী সহজেই খাবার হজম করতে পারে। গাঁজনযুক্ত খাবারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে থাকে প্রোবায়োটিক।
Advertisement
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম