দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম স্থানীয় কোনো নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করে জনপ্রিয়তা প্রমাণে মরিয়া। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভাগুলোর ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ করছেন।পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মাঠে রয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এবারের নির্বাচনে ২৩৪টি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মোট ২৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির ২২৩, জাতীয় পার্টির ৭৪, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ২১, স্বতন্ত্র ২৮৫ ও অন্যান্য দলের ১০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সাতটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৯জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্বে ও অপরাধ দেখভালে মাঠে রয়েছেন সর্বমোট ১ হাজার ২০৪ জন নির্বার্হী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এইচএস/জেডএইচ/এমএস
Advertisement