দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টহল ব্যবস্থা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়। আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। এ নির্বাচনে ফের যেন কোনো সহিংসতা না হয়, এজন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
অনুরূপভাবে রাজধানীতেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সেজন্য পুলিশ সদস্যদের টহল ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এটি পুলিশের একটি চলমান প্রক্রিয়া। কাউকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
Advertisement
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে আদালত বন্ধ ছিল। বর্তমানে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় ওয়ারেন্ট বেড়েছে এবং রিসিভ করছি আমরা। ফলে আমাদের বিশেষ ওয়ারেন্ট অভিযানে যেতে হয়। বুধবার থেকেই আমরা ওয়ারেন্ট অভিযান শুরু করেছি। এছাড়া শীতের সময় চুরি ও ছিনতাই বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে অনেক রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম আছে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী রয়েছে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ অফিসারদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাই।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকায় কর্মরত যেসব পুলিশ কর্মকর্তা ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে বাইরে ছিলেন, তাদের বুধবার (২৪ নভেম্বর) দিনের প্রথমভাগে কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে যাদের যাওয়ার কথা ছিল, তাদের সফর বাতিল করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ১৬ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বিশেষ অভিযানে তিন হাজারেরও বেশি আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ইয়াবাসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদব্র্য, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল।
Advertisement
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, গত ১৬ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট মাদকবিরোধী অভিযানে ২ হাজার ৯৬৪ জনকে গ্রেফতার করে। এসব অভিযান চলাকালে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৩২৮ পিস ইয়াবা, ৫ কেজি ২৩০ গ্রাম হেরোইন, ৮ হাজার ৮৩২ বোতল ফেনসিডিল, ১ হাজার ৫৯০ লিটার বিদেশি মদ, ১০ হাজার ৫১ লিটার দেশি মদ ও দেড় হাজার কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
একই সময়ে পুলিশের অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানে ৯৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযানে ৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫২৫টি দেশীয় অস্ত্র ও ৫৭টি বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
অভিযান চলাকালে পুলিশের নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেলবিরোধী অভিযানে নিবন্ধনহীন ৩ হাজার ১৪০টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। চোরাই ৩৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৯৮টি। গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচজন।
টিটি/এমএএইচ/এএসএম