কক্সবাজার পৌর মেয়র সরওয়ার কামালের পর এবার বহিষ্কার হলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিমুল্লাহ। সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দ মো. নুরুল বাসির স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।পত্রে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১১ দ্বারা সংশোধিত] এর ১৩ খ (১) ধারা অনুসারে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদ থেকে জিএম রহিমুল্লাহকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার পত্রটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি প্রচার পেয়েছে।দু’জনই একই মামলায় বহিষ্কার হওয়ায় পরবর্তী খড়ক কার ভাগ্যে নামবে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বহিস্কারাদেশ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় ২০১৩ সালে ৩৪, ৩৬, ০১ ও ৩১ নাম্বার মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ২৭৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট ভুক্ত আসামি হওয়ায় জামায়াতের ওই নেতাকে বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, ১৫ জানুয়ারির ঘটনায় সেইদিন তিনজন নিহত এবং কক্সবাজারের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার ও অপর ১৯ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার চার্জশিটে ২৭৩ জনকে আসামি করা হয়।আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিমুল্লাহ, সদ্য বহিষ্কৃত মেয়র সরওয়ার কামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাহাদুরসহ জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সমর্থিত লোকজন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর পুলিশ মামলা গুলোর চার্জশিট দাখিল করেছিল।জিএম রহিমুল্লাহর বহিষ্কারের তথ্য প্রচারের পর থেকে কে হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এনিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে। একটি সূত্র বলছে, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসেবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগে যোগদানকারী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনাজ তাহেরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাচ্ছেন। আর নতুন বছরের শুরুতেই এটি কার্যকর হচ্ছে বলেও গুঞ্জন চলছে।কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) হেলেনাজ তাহেরা জানান, ফৌজদারি মামলায় যেদিন চূড়ান্তভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন সেদিনই জিএম রহিমুল্লাহ বহিষ্কারের তালিকায় ওঠেন। কিন্তু উপরে তদবির করে এতোদিন বিষয়টি আড়ালে রেখেছিলেন তিনি।সায়ীদ আলমগীর/বিএ
Advertisement