বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম, দীর্ঘতম, দ্রুততমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ঘটনার বই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এখানে অন্যদের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের মানুষগুলোই জায়গা করে নেন। সেই তালিকায় থাকে গাছপালা থেকে শুরু করে পশুপাখি, স্থানও।
Advertisement
তেমনই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে বিশ্বের বিপজ্জনক গাছের। যে গাছের কাছে ঘেঁষলেই পুড়ে যায় ত্বক। গাছের কোনো অংশ ছোঁয়ার পর চোখে হাত দিলে অন্ধ হয়ে যাবেন। আর এর ফল খেলে মৃত্যু থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই।
এই গাছের ফলগুলো দেখতে অনেকটা সবুজ আপেলের মতো। তবে আকারে বেশ ছোট ফলগুলো। গাছটির নাম ‘ম্যানশিনীল’। যাকে ‘মৃত্যুগাছ’ বলেও ডাকা হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত গাছ হিসেবেও পরিচিত ম্যানশিনীল।
ম্যানশিনীল গাছে দুধের মতো ঘন রস থাকে। পাতা, গাছের ছাল এবং ফলেও সেই রস পাওয়া যায়। সেই রস কোনোভাবে শরীরের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যাওয়ার মতো ক্ষত সৃষ্টি হয়।
Advertisement
ক্যারিবীয় সাগরের তীর ঘেঁষে এই গাছের দেখা মেলে। উচ্চতা ৫০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এই গাছ এতটাই বিষাক্ত যে এর সংস্পর্শে এলে দেহের ত্বক পুড়ে যেতে পারে। দাবি করা হয়, এই গাছের ফল খেলে দেহের ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করবে এবং কিছু ক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
গিনেস বুকেও বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে ম্যানশিনীলের নাম। তবে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে এই গাছের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমুদ্রের জল থেকে মাটিক্ষয় রোধ করে এই গাছ।
সায়েন্স এলার্ট পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই রসে ফরবল নামে বিষ থাকে। যা সহজে পানিতে মিশে যেতে পারে। তাই বৃষ্টির সময় এই গাছের নীচে আশ্রয় নিতে নিষেধ করা হয়। কারণ বৃষ্টির সঙ্গে এই রস মিশে শরীরের সংস্পর্শে এলে বা কোনো কারণে চোখে গেলে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিও হতে পারে।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড
Advertisement
কেএসকে/জেআইএম