রাজধানীর কদমতলীতে এক দোকানের চার কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ভুক্তভোগী কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলে জারি করেছেন।
Advertisement
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত গরিব কর্মচারীদের সাজা দিয়েছে। তারা দুই মাস জেলে থাকায় তাদের পরিবার খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটিয়েছে। তাই তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য রিটে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
মামলার তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায়, এর আগে ওই দোকানের কোটি টাকার মালামাল নিয়ে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় জব্দ তালিকা ছাড়াই মালপত্র নেওয়ার ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় ক্ষিপ্ত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে ম্যাজিস্ট্রেট দোকানের কর্মচারীদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দুই মাস জেলে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ভুক্তভোগী কর্মচারীরা।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজিসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়।
Advertisement
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম