গত কয়েক বছর ধরেই দেশের প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে দেশের তরুণ প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীরা। কৃষি খাতেও নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্র উদ্ভাবনে তরুণদের এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। কৃষি জমি কমছে আবার আবাদি জমির পরিমাণ ক্রমেই ক্ষুদ্র হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন উদ্ভাবন যেমন প্রয়োজন তেমনই বর্তমান চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কৃষি প্রকৌশলীদের উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আলীম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড আয়োজিত “কৃষি প্রকৌশল উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা-২০২১” এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য কৃষি প্রকৌশল বিজ্ঞানী ও দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সমসাময়িক কৃষি প্রকৌশল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান অন্বেষণ ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে ত্বরান্বিত করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। দীর্ঘ নয় মাস যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে ২০টি দল থেকে ৩টি দলকে বিজয়ী করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় প্রথম হন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যথাক্রমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আমিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তানজিলা আক্তার ও তার দল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হামিদুল ইসলাম।
Advertisement
আলিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে তরুণ কৃষি প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট গবেষক উৎসাহ দিতে এ আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৃষিকে আধুনিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই। কৃষি বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে দেশীয় গবেষণা ও চর্চার মধ্য দিয়েই খাদ্যশস্য অপচয় রোধ করা সম্ভব। সামনের দিনে দেশের কৃষি খাতে যান্ত্রিকীকরণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হলে তরুণদের উদ্ভাবনকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
এনএইচ/এমকেআর