দেশজুড়ে

কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়ি ও বিএনপি নেতার অফিসে হামলা

পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ বিএম জিলানীর নির্বাচন সমন্বয়কারী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।এসময় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাইন উদ্দিন ভূইয়া ও ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জোসনা বেগমের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তারা বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী শক্তির মহড়া দিয়ে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এসময় থেমে থেমে বেশ কিছু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। এ নিয়ে পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার রাত ১০টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পৌরসভার বিভিন্নস্থানে পৃথক এসব ঘটনা ঘটে।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে যুব ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ বিএম জিলানীর মালিকানাধীন মেঘনা হাসপাতাল (প্রা.) বন্ধ করতে চাপ দেন। না হয় হাসপাতালে ভাঙচুর করা হবে বলে হুমকি দেন তারা। চাপের মুখে বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালটির শাটার বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।পরে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসপাতালে গিয়ে দুপুর ২টার দিকে কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে বললে তা খোলা হয়। হাসপাতালে ৭-৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া, বিকেলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জোসনা বেগমের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।এর আগে সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদারের ব্যক্তিগত কার্যালয়, স্থানীয় অহিদ খানের বাসা ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাইন উদ্দিন ভূইয়ার বাসায় হামলা-ভাঙচুর করা হয়। অফিস ও কার্যালয়ে গ্লাস ও কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ বিএম জিলানী জাগো নিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর লোকজন অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর, অফিসে হামলা চালাচ্ছেন। একের পর এক তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল আসছে না।অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ইসমাইল খোকন জাগো নিউজকে বলেন, আমার কোনো নেতাকর্মী হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। কারা হামলা করেছেন, তা আমার জানা নেই। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলেও তিনি দাবি করেন।এ ব্যাপারে রায়পুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি নেতার অফিসে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।রায়পুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, প্রার্থী ও ভোটারদের বাড়ি-ঘরে হামলা, হুমকি দেয়ার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি।কাজল কায়েস/এমজেড/বিএ

Advertisement