দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর ১১ নভেম্বর থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে এখনো বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াটি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
করোনা সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় ক্যাফেটেরিয়াও। কিন্তু ক্যাম্পাস খুললেও দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ক্যাফেটেরিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বৃষ্টি প্রামাণিক বলেন, ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় ক্যাফেটেরিয়াকে। ক্লাসের প্যারা শেষে যেখানে এসে জমে আড্ডা, হয় আলোচনা, চলে খোশ গল্প বা কখনো গানের আসর। ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চা, প্রচণ্ড ক্ষুধায় একটু তৃপ্তি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ক্যাম্পাস ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ। অথচ সেই প্রাণকেন্দ্র এখনো বন্ধ আছে।
তিনি আরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লাসের ফাঁকে বাইরে এসে খাবার খেয়ে আবার ক্লাসে ফেরাটা অনেকটা সময়ের ব্যাপার। যা সব সময় সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। না খেয়েই হয়তো বিকেল পর্যন্ত ক্লাস করতে হয় অনেককে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, ক্লাস পরীক্ষা সশরীরে শুরু হয়েছে। সেখানে আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের সুবিধার দিক বিবেচনা করে শিগগির ক্যাফেটেরিয়া চালু করাটা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় স্টুডেন্ট বান্ধব হয়েছে এবারও আশা করছি তার ব্যতিক্রম হবে না।
Advertisement
আরেক শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি ক্যাফেটেরিয়া। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস খুললেও চিরাচরিত নিয়মে বন্ধ আছে ক্যাফেটেরিয়া। বিগত সময়ে দেখা গেছে বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত হয়ে বেশিরভাগ সময়ে বন্ধ থাকতো ক্যাফেটেরিয়া। খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা যায়নি। প্রশাসনের কাছে বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব ক্যাফেটেরিয়া যেন খুলে দেওয়া হয়।
ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুজ্জামান খান জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার ক্যাফেটেরিয়ার সহকারী পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে। খুব দ্রুত ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ক্যাফেটেরিয়ার সহকারী পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মো. বিপুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ক্যাফেটেরিয়া খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসজে/এএসএম
Advertisement