কাঁধের ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বলই করতে পারেননি ডেল স্টেইন। তাতে ইংল্যান্ডও বেশ সুযোগ পেয়েছিল নিজেদের ইনিংসটাকে যত লম্বা করা যায়, সেদিকে মনযোগ দিতে। তবুও ড্যান পিটের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৬ রানে অলআউট অ্যালিস্টার কুক অ্যান্ড কোং। তাতেই দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৪১৬ রানের বিশাল চ্যলেঞ্জ দাঁড়িয়ে গেলো।জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিন্তু বেশ ভালোই বিপদের মধ্যে রয়েছে প্রোটিয়ারা। ৮৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারাতে হয়েছে তাদের। আউট হয়ে গেছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান ডিন এলগার, স্টিয়ান ফন জিল এবং অধিনায়ক হাশিম আমলা। ডিন এলগার আর স্টিয়ান ফন জিল- দু’জন মিলে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ৫৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হয়ে স্টিয়ান ফন জিল আউট হয়ে গেলে ভাঙে তাদের জুটি। ফন জিল করেন ৩৩ রান। হাশিম আমলা সম্ভবত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছেন। প্রথম ইনিংসে তিনি আউট হয়েছিলেন ৭ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হলেন মাত্র ১২ রান করে।দলীয় ৮৫ রানে আমলার উইকেট হারানোর পরপরই প্রোটিয়ারা হারালো ডিন এলগারের উইকেটও। ৪০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি করা এলগার। দ্রুত তিন উইকেট পড়ার পর প্রোটিয়া ইনিংসের লাগাম ধরেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার স্থায়ীত্ব মাত্র ৪৮ রানের। স্টিভেন ফিনের বলে অ্যালিস্টার কুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডু প্লেসিস। তার নিজের রান তখন ৯। এ রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৬। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ২৮০ রান। উইকেটে রয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স ৩৭ রান নিয়ে। তার সঙ্গী ডেল স্টেইন রয়েছেন শূন্য রানে।এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে জো রুটের ৭৩, জনি ব্যারেস্ট্রর ৭৯, কম্পটনের ৪৯ এবং জেমস টেলরের ৪২ রানের ওপর ভর করে ৩২৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। ড্যান পিট নেন ৫ উইকেট। স্টিয়ান ফন জিল ৩টি এবং ১টি করে উইকেট নেন মরনে মর্কেল ও কাইল অ্যাবট। আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement