গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে এখন একই কথা, কে হচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক? তিন বছর মেয়াদী কমিটির পাঁচ বছর পার হতে চললেও এখনো ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দিকে নজর কমিটির তিন যুগ্ম সম্পাদকের। শুক্রবার গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য হওয়ার পর কে হচ্ছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা আলোচনা।
Advertisement
মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, দুই নম্বর টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির চাচা মতিউর রহমান মতি এবং তৃতীয়জন হলেন গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য এসএম মোকছেদ আলম। এদের মধ্যে প্রথম দুইজন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমবিরোধী অপরজন মেয়র পক্ষের লোক বলে পরিচিত।
প্রথম যুগ্ম সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হলেও ইদানিং তিনি কিছুটা সুস্থ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দল থেকে যদি তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করে তুলবেন। সবার সঙ্গে আলাপ করে দলকে ঢেলে সাজাবেন।
তবে দলের একাংশের নেতারা মনে করেন অসুস্থ শরীর নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ মহানগরী গাজীপুরের মতো একটি সংগঠন চালানো আতাউল্লাহ মন্ডলের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জোর তদবিরে এগিয়ে আছেন দুই নম্বর যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি।
Advertisement
যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি বলেন, দল থেকে তাকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি প্রথমে দলে শৃংখলা ফিরিয়ে আনবেন। দলের সব পর্যায়ের নেতাদের পরামর্শ নিয়ে দলকে নতুন করে সাজাবেন। নেতা-কর্মীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সকলকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হবে।
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শূন্যপদ পূরণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের তিন বছরের কমিটির পাঁচ বছর পার হলেও নতুন কমিটি গঠন নিয়ে কোনো ভাবনা দেখছেন না নেতাকর্মীরা। নগরীর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভের জন্য যুগ্ম সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল ও মতিউর রহমান মতি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নানাভাবে লবিংয়ে তৎপর রয়েছেন বলে একাধিক নেতা জানান।
মেয়র প্রায় সমস্ত দিনই নগরীর ছয়দানা এলাকায় বাসভবনে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাপ্তরিক ফাইলে স্বাক্ষর করেন। তবে নগর ভবনে বা কোনো আঞ্চলিক কার্যালয়ে যাননি। সোমবার কিছু নেতাকর্মী, কয়েকজন কাউন্সিলর ও কিছু দর্শনার্থীর তার বাসভবনে গিয়েছেন। তবে তা আগের তুলানায় সংখ্যায় খুবই কম।
Advertisement
এদিকে মেয়রবিরোধী শিবিরে চাঙ্গা ভাবের পাশাপাশি জল্পনা-কল্পনা চলছে কে হচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
এফএ/জেআইএম