ক্যাম্পাস

ঢাবিতে জয়নুল উৎসব শুরু

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব এবং বার্ষিক লোকজ মেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এ উৎসব শুরু হয়।উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন।  চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সহধর্মিনী জাহানারা আবেদিন এবং অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। চারুকলা শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আব্দুল মতিন সরকার ও অধ্যাপক বুলবন ওসমানকে ‘জয়নুল সম্মাননা-২০১৫’ প্রদান করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তুলতে যে ক’জন মনীষী ভূমিকা রেখেছেন, তিনি তাদের অন্যতম। বাঙালি জাতির স্বাতন্ত্র্য, স্বকীয়তা, শিল্প ও সংস্কৃতিবোধ জাগ্রত করতেও তিনি অনন্য অবদান রেখে গেছেন। শিল্পাচার্য বলতেন, ‘বাঙালি জাতির অনেক দীনতার মধ্যে সবচেয়ে বড় দীনতা রুচিবোধের’। রুচিবোধের এই দীনতা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলকে সত্য ও সুন্দরের অনুসারী হতে হবে। উপাচার্য নিজের দেশ, ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালবাসার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের সংস্কৃতি ভুলে বিদেশি সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হওয়া উচিৎ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সত্যের অন্বেষণ করে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানো হয়নি’ মর্মে পাকিস্তানের অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সঙ্গে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াসহ সকল প্রকার সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। গণহত্যার কথা স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এই সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা হবে না বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, ৩ দিন ব্যাপী জয়নুল উৎসব এবং বার্ষিক লোকজ মেলা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। উৎসবে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগৃহীত পুতুল, লোকশিল্প এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।      এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement