অস্ট্রেলিয়ায় টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতার আদেশের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সরকারের সিদ্ধান্তের সমর্থনেও কিছু মানুষ সমাবেশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক হারে টিকা কার্যক্রম চলছে। দেশটিতে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। দেশব্যাপী বহু মানুষ স্বেচ্ছায় টিকা নিচ্ছে। তবে দেশটির সব রাজ্য ও অঞ্চলে বিশেষ কিছু পেশার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাছাড়া যারা টিকা নেয়নি তাদের কনসার্টে অংশগ্রহণ ও রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
নিজেদের স্বাধীনতার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের। এসময় তারা ‘অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই’, ‘আনভ্যাক্সড লাইভস ম্যাটার’ অর্থাৎ যারা টিকা নেয়নি তাদের জীবনও মূল্যবান এমন প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন তারা। কয়েক হাজার টিকাবিরোধী বিক্ষোভকারী অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট্রাল মেলবোর্নের রাস্তায় জড়ো হন।
এছাড়া সিডনি, ব্রিসবেন ও পার্থেও বিক্ষোভ হয়েছে। এসব জায়গায় পুলিশ নিবিড়ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করছে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। বিশ্বের দীর্ঘতম লকডাউন দেখেছে ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নের মানুষ।
Advertisement
করোনা সম্পর্কিত বিধিনিষেধের বিষয়ে আইন পাস ও টিকা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে মানুষ উদ্বেগ জানিয়েছে। মানুষ টিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। নো টিকা, নো টিকা বলে স্লোগান দিচ্ছে। জানা গেছে, আইনটি পাস হলে রাজ্য সরকারের ক্ষমতা বাড়বে এবং যারা টিকা নেয়নি তারা নিয়মিত কোনো কাজ করতে পারবেন না।
অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে টিকাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। মাঝে মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে শনিবার নতুন করে এক হাজার ১১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন পাঁচজন। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। এ রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২ জন।
এমএসএম/টিটিএন/এএসএম
Advertisement