মাদক মামলায় জামিনে কারামুক্ত শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। অনেক জল গড়িয়েছে তার এই মামলা নিয়ে। ভারতের সাধারণ মানুষ তো বটেই, শোবিজেও দেখা গেছে পক্ষ-বিপক্ষ তর্ক। তবে শেষ পর্যন্ত যারা বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের পক্ষে ছিলেন তারাই হয়তো শেষ হাসি হাসতে চলেছেন।
Advertisement
আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) মামলার রায় প্রকাশ করতে গিয়ে বম্বে হাইকোর্ট বলেছে, আরিয়ানের বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগেই সত্যতা মেলেনি। সূত্র হিন্দুস্তান টাইমস।
মাদক মামলায় আরিয়ান খান যে ষড়যন্ত্র করেছেন, প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। এমন কোনো প্রমাণও মেলেনি যাতে আদালত নিশ্চিত হতে পারে যে বেআইনি কোনো কাজ করার লক্ষ্য ছিল আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার।
আজ শনিবার মামলার বিস্তারিত রায় প্রকাশ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। ১৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ানদের একই অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল বলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) তরফে যে দাবি করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন শুধুমাত্র সেই ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।
বিচারপতি জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে আবেদনকারীদের কাছে কোনো মাদক ছিল কিনা, তা আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেখানে আরিয়ানের থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি।
আরবাজ এবং মুনমুনের কাছ থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাদক আইন অনুযায়ী ‘কম’। সেই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ধারা প্রয়োগ করতে ‘ইতিবাচক প্রমাণ’ লাগবে, যা থেকে বোঝা যাবে যে বেআইনি কাজ করতে কোনো রকম চুক্তি হয়েছে বা আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুনের মধ্যে কোনো বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো বিষয় মেলেনি।
আপাতত যা তদন্ত হয়েছে, তা থেকে উঠে এসেছে যে মুনমুনের সঙ্গে যাননি আরিয়ান এবং আরবাজ।
Advertisement
পাশাপাশি আরিয়ানের হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটেও কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি বলে জামিনের রায়ে জানিয়েছে হাইকোর্ট। রায়ে জানানো হয়, শাহরুখ খানের পুত্রের ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া গেছে, তা খুঁটিয়ে দেখার পর এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি, যা থেকে ইঙ্গিত পাওযা যায় যে আরিয়ান এবং আরবাজ বা আরিয়ান, আরবাজ এবং মুনমুন বা অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল।
যেহেতু ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি, তাই ৩৭ ধারায় জামিনের কঠোর নিয়ম কার্যকর হবে না।
সেই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি হিসেবে যে দাবি করেছিল এনসিবি, তুফান সিং বনাম তামিলনাড়ু সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তার কোনো মূল্য নেই।
এলএ/এএসএম