করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করেছে অস্ট্রিয়া। একই সঙ্গে দেশটিতে পুরোপুরি লকডাউন জারি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়াই আবারো পুরোপুরি লকডাউন জারি করতে যাচ্ছে। সংক্রমণের নতুন স্রোত আটকে দিতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
অস্ট্রিয়া সরকার বলছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা দেশের সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনবে। দেশটিতে এমন এক সময় এই ঘোষণা দেওয়া হলো যখন সেখানকার পুরো জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়ায় ভ্যাকসিনের হার সবচেয়ে কম।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়ায় সংক্রমণের হার অনেক বেশি। যারা ভ্যাকসিন নেয়নি গত সোমবার থেকে তাদের লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। তারপর থেকেই সংক্রমণে নতুন রেকর্ডের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
দেশটিতে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ হচ্ছে সালজবার্গ এবং আপার অস্ট্রিয়া। বৃহস্পতিবার এই দুই প্রদেশ জানিয়েছে, তারা নিজেরাই লকডাউন জারি করছে। পুরো দেশেই যেন সরকার লকডাউন জারি করে সে বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর আলেক্সান্ডার স্কালেনবার্গ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সোমবার থেকে লকডাউন জারি হচ্ছে। যারা ভ্যাকসিন নিতে চাচ্ছেন না তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছে বলেও দোষারোপ করেন তিনি।
নতুন বিধিনিষেধের কারণে লোকজন এখন বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাবেন না। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা এবং ব্যায়ামের মতো দরকারি কাজগুলোতে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাবেন।
দেশটির অনেক এলাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে এখন এক হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সে কারণেই দেশটিতে পুরোপুরি লকডাউন জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ কমিয়ে আনতে লোকজনকে আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব নয় বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে অস্ট্রিয়ার প্রতিবেশী দেশ হাঙ্গেরী জানিয়েছে, শনিবার থেকে দেশটিতে বাড়ির ভেতরে আবারো মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অপরদিকে নেদারল্যান্ডসে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেখানে রাত ৮টায় বার এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম