কারও প্রেমে পড়া মানে এই নয় যে আপনি মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন। এটি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। কাউকে দেখে ভালো লাগা তারপর ভালোবাসার মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক এগিয়ে চলে।
Advertisement
তবে আপনার পছন্দের সঙ্গী আদৌ কি আপনার মনের মানুষ? এই প্রশ্নের জবাব কী কখনো নিজের কাছে জানতে চেয়েছেন? সত্যিকারের মনের মানুষ ছাড়া জীবন টেনে নেওয়া যায় না! ভুল সঙ্গীর কারণে অনেক সময় সংসার ভেঙে যায় পথিমধ্যে।
সঙ্গী যদি আপনার সত্যিকারের মনের মানুষ হয় তাহলে প্রেম ও দাম্পত্য জীবন চলবে মসৃণভাবে। অন্যথায় দন্দ্ব, কলহ, বিরোধ, অশান্তি, অবিশ্বাস, সন্দেহ, ভুল বোঝাপোড়াসহ নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য বেড়ে যেতে পারে।
আর যদি মনের মানুষ আপনার সঙ্গে থাকে তাহলে মহূর্ত অনেক ভালো কাটবে। এমন প্রেমে সুখ ও শান্তির মুহূর্তও বেশি আসে। এক্ষেত্রে সঙ্গী হয়ে ওঠেন একটি বড় ভরসার জায়গা।
Advertisement
তবে কীভাবে বুঝবেন যে মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন? জেনে নিন সত্যিকারের মনের মানুষ চেনার ৩ কৌশল-
>> পছন্দের মানুষ অনেক থাকলেও যার সঙ্গে আপনার বেশি সময় কাটাতে ইচ্ছে করে, তিনিই হতে পারে আপনার মনের মানুষ। কারণ মনের মানুষের সঙ্গেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাতে ভালো লাগে।
>> কোনো সমস্যায় পড়লে যার সঙ্গে মন কথা খুলে বলতে ইচ্ছা করে কিংবা যার কাছে গেলে নিজেকে সাহসী বলে মনে হয় তিনিই হতে পারে আপনার মনের মানুষ। কারণ আপনি জানেন যে, তিনিই এগিয়ে আসবেন আপনার বিপদে। তা তার ক্ষমতার মধ্যে হোক বা না হোক।
>> দুঃখ-কষ্ট, সুখ-আনন্দ সবকিছুই আপনি যার সঙ্গে নির্দ্বিধায় ভাগাভাগি করতে পারবেন, তিনিই হলেন আপনার মনের মানুষ। কারণ মন থেকে কাউকে ভালোবাসতে না পারলে কখনো তার সঙ্গে আরামদায়ক বোধ হয় না।
Advertisement
এমন সঙ্গী পাওয়া কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। এরই মধ্যে আপনি যদি এমন সঙ্গী পেয়ে যান তাহলে খুবই ভালো। আর যদি না পান তাহলে অন্তত ভুল সঙ্গীকে নিয়ে এগিয়ে যাবেন না।
অনেক সময় দেখা যায়, ভুল মানুষের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখি বছরের পর বছর। এতে সম্পর্ক টিকে থাকলেও দুজনের কেউই সুখী হতে পারেন না।
সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে ও সুখী থাকতে একতরফা ভালোবাসা নয় বরং দুজনেরই ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ জরুরি।
জেএমএস/এএসএম