লাইফস্টাইল

এক উপাদানেই সুস্থ থাকবে ফুসফুস, সারবে ঠান্ডা-কাশি-নিউমোনিয়া!

ফুসফুস শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। করোনার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত সবাই ফুসফুস নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শুধু করোনা নয়, বায়ু দূষণ থেকে শুরু করে ধূমপানের কারণেও ফুসফুসের কার্যকারিতা কমতে শুরু করে।

Advertisement

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের নেই কোনো বিশ্রাম। কারণ এক মুহূর্ত এই অঙ্গটি কাজ না করলেই মৃত্যু অবধারিত! বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে এনে অনবরত শরীরকে সরবরাহ করে চলে এই অঙ্গটি। তাই সবারই উচিত ফুসফুস যত্নে রাখা।

তবে শীতকালে এই অঙ্গের উপর বেশি চাপ পড়ে। কারণ এ সময় আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ফুসফুসের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে বায়ু দূষণ ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বিপদ হতে পারে যখন তখন।

এসব সমস্যা একত্রিত হয়ে ফুসফুসের উপর মারাত্মক আঘাত আনতে পারে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তবে ফুসফুস ভালো রাখতে ভরসা রাখতে পারেন এক উপাদানে। প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদে উল্লেখিত একটি ভেষজ ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

এ বিষয়ে বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘দূষণ সবচেয়ে বেশি আঘাত হানছে ফুসফুসে। পাশাপাশি ভাইরাসের আক্রমণ তো আছেই।’

‘ফুসফুসের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন ধূমপায়ী, অ্যাজমা রোগী, ফুসফুসের রোগী ও সাইনাসের সমস্যায় ভোগেন এমন ব্যক্তিরা। তাই তাদের এখন থেকেই সচেতন থাকতে হবে।’

ফুসফুস ভালো রাখবে যে ভেষজ উপাদান-

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিশেষ স্থান দখল করে আছে বাসক নামক ভেষজ উপাদানটি। এটি ফুসফুস ভালো রাখতে দুর্দান্ত কাজ করে। ডা. ঘোষও এ বিষয়ে একমত। তার মতে, ‘বিশেষ এই ভেষজ বহুক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে শ্বাসজনিত রোগে বাসক খুবই উপকারী।

Advertisement

গবেষণা অনুযায়ী, নিউমোনিয়াসহ ফুসফুসের ক্ষতি করে এমন রোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, সাইনাসের মতো অসুখও সারাতে পারে বাসক।

প্রায় প্রতিদিনই এ উপাদানটি খেতে পারবেন। তবে কোন অসুখে জন্য কতটুকু বাসক খাবেন তা আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ মেনে খেতে হবে।

অন্যদিকে কাশির সমস্যায় বাসক পাতার রস খুবই কার্যকরী। এর সঙ্গে হালকা গরম পানি মিশিয়ে গার্গলও করতে পারেন।

পাশাপাশি ফুসফুস ভালো রাখতে এ সময় মাস্ক পরার বিকল্প নেই। এর ফলে দূষণ থেকে বাঁচবেন, এমনকি করোনা বা অন্যান্য ভাইরাসের হাত থেকেও বাঁচবেন।

সূত্র: এই সময়

জেএমএস/জিকেএস