কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত ৩১ সদস্যের কমিটির ১১ জনই বিবাহিত ও চাকরিজীবী বলে অভিযোগ উঠেছে। অর্থের বিনিময়ে অছাত্রদের দিয়ে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বঞ্চিতদের একাংশ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের এমএ রাজ্জাক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কমিটির আহ্বায়ক পদ প্রত্যাশী ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম রাব্বি জানান, গত বছরের ২৫ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। দীর্ঘ প্রায় একবছর পর কারো সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন নেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাতসহ কমিটির ১১ জনই বিবাহিত। এদের মধ্যে কেউ কেউ চাকরিজীবী। আবার অনেকেরই নেই ছাত্রত্ব। দলটির কোনো কমিটিতেই বিগত দিন এরা ছিলেন না। গঠনতন্ত্র মোতাবেক জেলা কমিটিতে ২০০৩ সালে এসএসসি পাশ করা ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও অদৃশ্য কারণে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ জুনিয়র ছাত্রদের দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
একই সঙ্গে কমিটি বাতিল ও মামলা-হামলার শিকার দলটির ত্যাগী নেতাদের দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশী নাহিদুল ইসলাম রুপল, রোকনুজ্জামান রাসেল, আশরাফুল ইসলাম অনিক, সাগির কোরাইশি, আহমেদ হাসান আশরাফি অভিকসহ পদ প্রত্যাশী প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৭ নভেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান রাব্বিকে এবং খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাতকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
আল-মামুন সাগর/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement