বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মােতায়েন করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের মিছিলকে কেন্দ্র করে এ সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন তারা। গুলশান থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খালেদা জিয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল চেয়ারপারসনের গুলশান বাসভবন অভিমুখে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ও এর আশপাশের রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খালেদা জিয়া বিরুপ মন্তব্য করায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকজন তার (খালেদা জিয়া) বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় তার (খালেদা জিয়া) নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই খালেদা জিয়ার বাসবভন ও কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কী কারণে করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে ক্ষমতাসীনরা খালেদার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।খালেদা জিয়া ওই সমাবেশে বলেন, “আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হত না।”খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছেন।গত শনিবার ফেসবুক পেজে জয় লেখেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানাতে। বিএনপি এবং তাকে দেখান যে, তার পাকিস্তানি প্রভুরা এবং জামায়াতি পোষা গুণ্ডারা আমাদের ভাই ও বোনদের যেভাবে হত্যা করেছিল সেই স্মৃতি অপপ্রচার চালিয়ে মুছে ফেলা যাবে না।’ এমএম/আরএস/এমএস
Advertisement