দেশজুড়ে

ঝিনাইদহে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ৪৫টি

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ জেলার ৬টি পৌরসভার মধ্যে ৪টি পৌরসভার নির্বাচন। এগুলো হলো মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা।খুলনা রেঞ্জ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পৌর নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি পৌরসভার ৪৫ ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে মহেশপুরে ৯টি, কোটচাঁদপুরে ১২টি, হরিণাকুন্ডুতে ৯টি এবং শৈলকুপা পৌরসভা ১৫টি ভোটকেন্দ্র। এদিকে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর উন্নয়ন আশ্বাসের ফুলঝুড়ি এখন প্রার্থীদের মুখে। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী, সরকার দলীয় প্রার্থী এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে দাবি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর।ঝিনাইদহের শৈলকুপার বিএনপির সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়র প্রার্থী খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের বিরুদ্ধে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও কর্মী-সমর্থকদের মারপিটের অভিযোগ আনেন। পরদিন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অন্য এক সংবাদ সম্মলনে বিএনপির প্রার্থীর সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জিন্নাতুল হক। হারিণাকণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে তিনি এ অভিযোগ করেন। বুধবার রাতে হরিণাকুন্ডু পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দিয়েছে বিএনপির প্রার্থীর লোকজন বলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শাহিনুর রহমান রিন্টু অভিযোগ করেন।কোটচাঁদপুর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যাবে বলে প্রচার করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এছাড়া এই পৌর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মঙ্গলবার বিকেলে পৌর জামায়াতের আমীর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শরিফুল ইসলামের ৫ হাজার ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ফজলুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা করেন জেলা নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট ওসমান গণি।ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৮ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে টহল ও অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা যাতে এলাকায় ফিরে আসতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সন্ত্রাসী-চরমপন্থিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের একটি মোবাইল টিম এবং প্রতি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৪টি মোটরসাইকেলে পুলিশের ৮ জন সদস্য টহল দেবে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।এসএস/এমএস

Advertisement