স্বভাবতই একেকজনের হাঁটার ধরন ভিন্ন। কেউ হাঁটেন জোরে আবার কেউ আস্তে, কেউবা মাথা উঁচু করে কিংবা কেউ সামনের দিকে ঝুঁকে।
Advertisement
জানলে অবাক হবেন, হাঁটার ধরন দেখেও টের পাওয়া যায় মানুষের চরিত্র কেমন। মনোবিদের মত, হাঁটার ধরনের ব্যক্তিত্বের ছাপ ফুটে ওঠে। জেনে নিন কীভাবে-
>> সাধারণত যারা জোরে হাঁটেন তারা খুব হন সাহসী প্রকৃতির। এমন মানুষেরা অন্যের সঙ্গে মিশতে ভালবাসেন। এরা নিজের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন। সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস থাকে তাদের।
>> আর যারা ধীরে ধীরে হাঁটেন, তারা কিন্তু ভিতু নন। মনোবিদের মত, তারা হন শান্ত প্রকৃতির। খুব বেশি ঝামেলা বা হৈ চৈ তারা পছন্দ করেন না।
Advertisement
এমন ব্যক্তিরা বেশ আত্মকেন্দ্রিকও বটে। এরা অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করতে খুব বেশি পছন্দ করেন না। এমনকি মতের অমিল হলেও জোর গলায় প্রতিবাদ করেন না।
>> যেসব ব্যক্তিরা ঢিমে তালে বা বেড়ানোর গতিতে হাঁটেন, তারা খুব আরামপ্রিয় স্বভাবের হয়। তবে এরা অন্যদের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী হন। সহজে তারা হাল ছাড়েন না। সব সময় মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নেন ও কাজ করেন।
>> অতি দ্রুত বা তাড়াহুড়োয় হাঁটেন যারা তাদের মধ্যে সব সময় একটা ভয় কাজ করে। এই বুঝি সময় শেষ হয়ে গেল! এই ভাবনা থেকেই তারা সব সময় তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকেন। তবে এমন ব্যক্তিরা যে কাজ করেন তা খুব মন দিয়ে করার চেষ্টা করেন।
>> অনেকেই আছেন যারা ঝুঁকে হাঁটেন। আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকে যাদের মধ্যে তারা সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটেন।
Advertisement
আবার যারা সাম্প্রতিক কোনো বিষয়ে মানসিকভাবে চাপে থাকেন, তারা সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে হাঁটেন। এসব মানুষেরা মনের কথা কাউকে খুলে বলেন না।
>> মাথা উঁচু করে হাঁটা ব্যক্তিরা প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হন। কথায় আছে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত নয়। এই দলের মানুষ জিততে ভালবাসেন।
মনোবিদদের মতে, হাঁটা দেখেও ব্যক্তিত্বের অনেকখানি টের পাওয়া যায়। তবে শুধু ব্যক্তিত্ব বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই নয়, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণেও হাঁটার ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে।
জেএমএস/জিকেএস