লাইফস্টাইল

মেয়াদহীন লিপস্টিক ব্যবহারে মারাত্মক বিপদ, যেভাবে চিনবেন

সব নারীই কমবেশি লিপস্টিক ব্যবহার করেন। তবে ব্যবহারের আগে কি কখনো লিপস্টিকের মেয়াদ আছে কি না তা খেয়াল করে দেখেন? আবার অনেকেই জেনে বুঝে এমন লিপস্টিক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেন।

Advertisement

তবে জানেন কি, মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অন্যান্য প্রসাধনীর মতোই লিপস্টিকেরও একটি শেলফ লাইফ আছে। একটি ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক প্রায় ১২-১৮ মাস স্থায়ী হয়। তবে অনেকেই বছরের পর পর বছর ধরে একই লিপস্টিক ব্যবহার করেন!

'

Advertisement

আবার অনেকেরই মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক কীভাবে চিনবেন সে বিষয়ে ধারণা নেই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে চিনবেন একটি পুরোনো বা মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক-

>> লিপস্টিকের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা আছে কি না তা পরীক্ষা করা।>> এর গন্ধ লক্ষ্য করুন। মেয়াদহীন লিপস্টিকে খুব পুরোনো ও অদ্ভুত গন্ধ হতে পারে।>> লিপস্টিকটি সহজেই ঠোঁটে লাগছে নাকি শুকনো হয়ে গেছে তা লক্ষ্য করুন।

মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহারে যেসব রোগ হতে পারে-

>> মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মুখের ভেতরে ও চারপাশে চুলকানির কারণ হতে পারে। লিপস্টিকে ল্যানোলিন আছে, যা অ্যালার্জির কারণ। ফলে ঠোঁটে শুষ্কতা, চুলকানি ও ব্যথা হতে পারে।

Advertisement

>> মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকে উপস্থিত ল্যানোনিনের শক্তিশালী শোষণ ক্ষমতা আছে। এটি বাতাস থেকে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ ক্ষতিকর উপাদান সহজেই শোষণ করতে পারে।

আপনি যখন লিপস্টিক লাগানো অবস্থায় পানি খাবেন তখন শরীরে সব ক্ষতিকর উপাদান প্রবেশ করতে পারে। ফলে শরীর অসুস্থ হতে পারে।

>> এ ছাড়াও লিপস্টিকে থাকে প্রচুর পরিমাণে সীসা ও ক্যাডমিয়াম। মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলে সীসার বিষক্রিয়া হতে পারে। এ ছাড়াও রেনাল ফেইলিউর, অ্যানিমিয়া, মস্তিষ্কের ক্ষতি এমনকি মস্তিষ্কের নিউরোপ্যাথিও হতে পারে।

>> লিপস্টিকে থাকে প্রিজারভেটিভ ও বিএইচএ ক্ষতিকারক পদার্থ কার্সিনোজেন। এসব ক্ষতিকর উপাদান মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। এমন লিপস্টিক দীর্ঘদিন ব্যবহারে স্তন টিউমারও হতে পারে।

তাই মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহারের আগে দশবার ভাবুন। খেয়াল রাখবেন সৌন্দর্য বাড়াতে শরীরের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। আর যদি এমন লিপস্টিক ব্যবহার কখনো করেও থাকেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস