দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

নির্বাচনী বিধি অনুসারে রাত ১২টার আগেই নোয়াখালীর চারটি পৌরসভা চৌমুহনী, বসুরহাট, হাতিয়া ও চাটখিলে প্রার্থীরা তাদের সকল প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছে। এদিকে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসগুলো ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইতোমধ্যে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন অফিসে ব্যালট পেপার, সিল, কালি, বাক্স, ফলাফল প্রস্ততসহ সকল প্রকার নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো শেষ করেছে। জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চারটি পৌরসভায় ৫২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৫২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চৌমুহনীর পৌরসভার ২০টির মধ্যে সবগুলো, চাটখিলের ১০টির মধ্যে ১০টি, হাতিয়ার ১৩টি মধ্যে ৭টি এবং কোম্পানীগঞ্জের ৯টির মধ্যে ৪টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যাপক নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাতিয়া পৌরসভা ব্যতীত তিনটি পৌরসভায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব অবস্থান নিয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি তারা দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে। হাতিয়া পৌরসভায় র্যাবের পাশাপাশি কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া মোবাইল টিম,স্ট্রাইকিং টিম ছাড়াও নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রসঙ্গত, চারটি পৌরসভার মধ্যে চৌমুহনীতে মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১৫ জন, বসুরহাট পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ কাউন্সিরর পদে ৩৪ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৭ জন, হাতিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন , সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১১ এবং চাটখিল পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোস্তফা কামাল তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারা করায় সেখান এখন সরাসরি সাধারণ কাউন্সিলর ৪৫, সংরিক্ষত কাউন্সিলর ৮ জন ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মিজানুর রহমান/এসএস/এমএস

Advertisement