কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পোস্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাসদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ অস্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচনের পোস্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিরাজ মণ্ডল ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আজিজের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভাগজোত বাজারে উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আয়নাল আলী নামের মশালের প্রতীকের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং রামদার আঘাতে রাশেদ, হান্নান, আশিক, ইমদাদুল ও মন্টু নামের নৌকার দুই সমর্থক আহত হন।
আহত আয়নালকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় ভাগজোত বাজারে মশালের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
Advertisement
মশাল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আজিজ বলেন, সোমবারও তার এক কর্মীকে মারধর করেছে নৌকা প্রর্তীকের কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে নৌকার সমর্থকরা তার মশাল প্রতীকের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে বুধবার সকালে (১৭ নভেম্বর) দৌলতপুর থানায় ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী সিরাজ মণ্ডল বলেন, মশাল প্রার্থীর সমর্থকরা গুন্ডাপান্ডা নিয়ে নৌকার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। রামদা ও চাপাতির কোপে নৌকার চার কর্মী আহত হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগও করেননি।
আল-মামুন সাগর/এসআর/জেআইএম
Advertisement