২০১৫ সাল বিমানের জন্যে রেকর্ড ভাঙার বছর। এবারই প্রথম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লোকসানের গণ্ডি পেরিয়ে লাভের মুখ দেখেছে। ২০১৫ সালের বিগত ৯ মাসে বিমানের লাভের পরিমাণ ২৭৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এছাড়া বিমানের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়াতে বিমান বহরে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ সংযোজনের পরিকল্পনা হিসেবে ইতোমধ্যে বোয়িং কোম্পানি থেকে ৬টি উড়োজাহাজ ক্রয় করা হয়েছে।গত দুই মাসে বোয়িং কোম্পানি থেকে দু’টি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে আসবে আরো চারটি উড়োজাহাজ। পরবর্তী প্রজন্মের ওই ৪টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার পর্যায়ক্রমে বিমান বহরে যুক্ত হলে বিমানে আর উড়োজাহাজ সংঙ্কট থাকবে না বলে মনে করে বিমান কর্তৃপক্ষ।এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিচালনা ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফারুক খাঁন জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বিমানকে বিশেষ গতি দিয়েছে। বিমান এখন লাভের মুখ দেখছে। বিমান বহরে একের পর এক নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এয়ারলান্সে পরিণত হবে।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মাজাহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড নিউ ৬ষ্ঠ বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ‘ময়ূরপঙ্খী’ গত ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। ময়ূরপঙ্খীকে নিয়ে বিমান বহরে নিজস্ব বোয়িং-এর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬টি। উড়োজাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটসহ আরো অন্যান্য নতুন রুটে বিমান চালু করা সম্ভব বলে মনে করছে বিমান কর্তৃপক্ষ।তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য সংগ্রহ করা নতুন প্রজন্মের ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন নতুন বছরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।নভেম্বরে বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে ‘মেঘদূত’ নামে আরো একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০। তারও আগে ২০১১ সালে ‘পালকি ও অরুণ আলো’ নামে বিমানের ১ম ও ২য় বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর বিমান বহরে যুক্ত হয়। এবং ২০১৪ সালে আকাশ প্রদীপ এবং রাঙা প্রভাত নামে বিমানের ৩য় ও ৪র্থ বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর বিমান বহরে যুক্ত হয়।উল্লেখ্য, নতুন প্রজন্মের সম্পূর্ণ নতুন ১০টি উড়োজাহাজ সংগ্রহের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় ৪টি সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার পর্যায়ক্রমে বিমান বহরে যুক্ত হবে।আরএম/এসকেডি/বিএ
Advertisement