দেশজুড়ে

নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টেন্ডার নিয়ে হাতাহাতি

নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ওষুধসহ দুই কোটি টাকার বিভিন্ন মালামাল সরবরাহের টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা ছয়টি দরপত্র ও পে-অর্ডার লুট করে নিয়ে যায়। সোমবার সকালে নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় পেয়ারা এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহ আজিজুল হক নরসিংদী সিএস অফিস ও সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ লিখিত অভিযোগ হাতে পেলেও কোনো কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগে জানা যায়, সোমবার সকালে ঢাকার বনানী থেকে পেয়ারা এন্টারপ্রাইজসহ একাধিক ঠিকাদার নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দরপত্র দাখিল করতে আসে। এসময় কতিপয় সন্ত্রাসী তাদের কাছ থেকে ছয়টি দরপত্র ও পে-অর্ডার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারা দরপত্র দিতে আপত্তি জানালে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সন্ত্রাসীরা এলোপাতারি মারপিট করে দরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।ঘটনাটি সিভিল সার্জন অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে জানালেও তারা এ ব্যাপারে কোনো রকম কর্ণপাত করেননি। তারা মনগড়া মূল্য দাখিল করে সরকার ও রাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করেছে। তারা অনতিবিলম্বে সাজানো টেন্ডার বাতিল করে পুনঃটেন্ডারের দাবি করেছেন।২৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিকট ১০৯টি শিডিউিল বিক্রি হয়। টেন্ডার জমা পড়ে ওষুধ গ্রুপ (ক-১) ৮টি। (ক-২)৯টি, যন্ত্রপাতি গ্রুপ- খ ১৩টি। গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা (ঘ-১) গ্রুপে ৯টি, (ঘ-২) লিলেন ৮টি এবং (গ) আসবাব, তৈজসপত্র গ্রুপে ৮টিসহ মোট মাত্র ৫৫টি।কিন্তু কী কী প্রতিষ্ঠান কোনো গ্রুপে টেন্ডার ড্রপ করেছে সে তথ্য দেয়নি হিসাবরক্ষক মুনসুর আহমেদ। সংবাদ প্রকাশের জন্য এই তথ্য প্রয়োজন জানালে তিনি নামাজ পড়ে আসছি বলে অপেক্ষা করতে বলেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরও হিসাবরক্ষক মুনসুর অফিসে আসেননি। তারপর তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন পুতুল রায় এর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।সঞ্জিত সাহা/এমজেড/বিএ

Advertisement