রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিকৃত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বুধবার (১৭ নভেম্বর) চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে এ অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।
শায়রুল বলেন, একটি কুচক্রী মহল সামাজিকমাধ্যমে ম্যাডামের একটি বিকৃত ছবি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা, পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে। তিনি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ অবস্থায় দেশনেত্রীর বিকৃত ছবি সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা অন্যায়। এ ধরনের ছবিতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
এ মুহূর্তে এমন বিকৃত ছবি প্রচারের রহস্য কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শায়রুল। একইসঙ্গে বেগম জিয়ার আশু সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
Advertisement
গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৫ অক্টোবর তার ছোট একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর হয় বায়োপসি পরীক্ষা। এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পেতে তা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।
প্রায় এক মাসের মতো রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গত ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টায় ছাড়পত্র নিয়ে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ ফিরেন বেগম জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে তার করোনামুক্তির খবর দেওয়া হয় ৯ মে। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়। এর ১৬ দিন পর, সব মিলিয়ে তখন প্রায় পৌনে দুই মাস হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়ে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন তিনি। এর মধ্যে করোনার দুই ডোজ টিকাও নেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে কারাগারে যান। করোনা মহামারি, স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও বয়স বিবেচনায় গত বছরের মার্চে তাকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
Advertisement
কেএইচ/এমকেআর/এমএস