বর্তমানে ছেলে বুড়ো সবাই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একদিকে তরুণ তরুণীরা আসক্ত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে। অন্যদিকে ধবংস হচ্ছে এক প্রজন্ম।
Advertisement
২০২০ সালের মার্চ মাসের একটি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেহেতু ৩ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ছাড়িছে। সেখানে ১৮ বছরের কম বয়সীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
তবে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আসক্তি কমাতে ইনস্টাগ্রামে আসছে নতুন ফিচার “টেক আ ব্রেক”। বলা হচ্ছে, এ নতুন ফিচার আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে ইনস্টাগ্রাম থেকে বিরতি নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে।
ফিচারটি মূলত ডিজিটাল ওয়েলবিং ফিচার অ্যান্ড্রয়েডে কীভাবে কাজ করে সেটাই মনে করিয়ে দেবে আমাদের। ফুল স্ক্রিন রিমাইন্ডার হিসেবে আসতে চলেছে ফিচারটি। যা ব্যবহারকারী তার পছন্দের সময়ের ব্যবধানের উপর ভিত্তি করে শিডিউল করতে পারবেন।
Advertisement
ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি বলেছেন যে, এটি মানুষকে তাদের ইনস্টাগ্রামের অভিজ্ঞতার উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আনতে সাহায্য করবে। তিনি আরও জানান যে ভবিষ্যতেও এই ধরনের আরও আপগ্রেডের বিষয়ে তারা কাজ চালিয়ে যাবেন। ফিচারটি থার্ড পার্টির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিলে তৈরি করা হচ্ছে।
এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই একটা নতুন আপডেটে এই ফিচারের রোল আউট শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ‘টেক এ ব্রেক’ প্রাথমিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে কয়েকজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী ব্যবহার করবে। এই বিটা ব্যবহারকারীরা ইন্সটাগ্রাম ফিডে এমবেড করার অপশনটি দেখতে পাবেন।
ব্যবহারকারীরা তারপর উইন্ডোটি আনতে পারে এবং মোট চারটি সময়ের প্রিসেট থেকে বেছে নিতে পারে। দীর্ঘতম ব্যবধান ৩০ মিনিট পর্যন্ত রাখা হয়েছে। একবার সেট হয়ে গেলে, ইনস্টাগ্রাম আপনাকে আপনার সেট করা সময়ের পরে বিরতি নেওয়ার জন্য একটি রিমাইন্ডার দেখাবে।
অবশ্যই আপনি এই নোটিফিকেশন খারিজ করতে পারেন এবং আপনার ইচ্ছে মতো ইন্সটাগ্রামের ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু যারা সক্রিয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আসক্তি কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এই রিমাইন্ডার বিষয়টি অনেক কাজে লাগবে।
Advertisement
পরীক্ষাটি সফল হলে ইনস্টাগ্রাম ডিসেম্বরের মধ্যে সবার জন্য ফিচারটি রিলিজ করতে পারে। অবশ্যই, আপনি যদি আরও এই ধরনের সুবিধা উপভোগ করতে চান তাহলে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ডিজিটাল হেলথ অ্যাপে যেতে পারেন। সেখান থেকে কোনও নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহারের সময় সীমাবদ্ধ করতে পারেন।
সূত্র: দ্য ভার্জ
কেএসকে/জেআইএম