টানা তিন সপ্তাহ ধরে (১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর) করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, সুস্থতা এবং মৃত্যু, সব সূচকই নিম্নমুখী থাকলেও চতুর্থ সপ্তাহে করোনা রোগী শনাক্ত সামান্য বেড়েছে। একই সময়ে সুস্থতাও তিন সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে টানা তিন সপ্তাহ মৃত্যু কমলেও চলতি সপ্তাহে মৃত্যুসংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে।
Advertisement
আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (কোভিড ইউনিট) ডা. মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এপিডেমিওলজিক্যাল ৪২তম সপ্তাহে (১৮-২৪ অক্টোবর) ১ লাখ ২৭ হাজার ২২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ২০৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ৩ হাজার ২৬৫ জন সুস্থ এবং ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। এর আগের এপিডেমিওলজিক্যাল ৪১তম সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ, শনাক্ত ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ, সুস্থতা ১৪ শতাংশ এবং ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ মৃত্যু কমে।
এপিডেমিওলজিক্যাল ৪৩তম সপ্তাহে (২৫-৩১ অক্টোবর) ১ লাখ ২৭ হাজার ৭২০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৮৪৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ২ হাজার ৯৬ জন সুস্থ এবং ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আগের সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা শূণ্য দশমিক ৪ শতাংশ, শনাক্ত ১৬ দশমিক ২ শতাংশ, সুস্থতা ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মৃত্যু কমে।
Advertisement
৪৪তম সপ্তাহে (১-৭ নভেম্বর) ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪৭৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ১ হাজার ৪০২ জন সুস্থ এবং ২৭ জনের মৃত্যু হয়। ৪৩তম সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা ৩ দশমিক ১ শতাংশ, শনাক্ত ২০ দশমিক ২ শতাংশ, সুস্থতা ৩৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ মৃত্যু কমে।
এদিকে এপিডেমিওলজিক্যাল ৪৫তম সপ্তাহে (৮-১৪ নভেম্বর) ১ লাখ ২২ হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ১ হাজার ৬৯০ জন সুস্থ এবং ২৭ জনের মৃত্যু হয়। ৪৪তম সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে। তবে শনাক্ত শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ এবং সুস্থতা ২০ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে মৃত্যু স্থিতিশীল রয়েছে।
এমইউ/এমএইচআর/এএসএম
Advertisement