দেশজুড়ে

শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

শেষ মুহূর্তে যশোরের ছয় পৌরসভার নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। এই ছয় পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১২ প্রার্থীর বাইরে আলোচনায় রয়েছেন তিন বিদ্রোহী প্রার্থীও। সব মিলিয়ে মেয়র পদে ২০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াইয়ে থাকছেন ১৫ প্রার্থী। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে এই ১৫ জনের মধ্যেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করছেন সাধারণ ভোটাররা। পৌরসভাগুলোতে মেয়র প্রার্থীদের বাইরে ২০৩ জন কাউন্সিলর ও ৪৮ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন। প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিলেও কোনো কোনো পৌরসভায় ভোটারদের মধ্যে চাপা আতঙ্কও বিরাজ করছে।যশোর পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন প্রার্থী চারজন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত জহিরুল ইসলাম চাকলাদার নৌকা, বিএনপি মনোনীত বর্তমান মেয়র মারুফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মূল লড়াইয়ে রয়েছেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) হিসেবে এসএম কামরুজ্জামান চুন্নু প্রার্থী জগ প্রতীক নিয়ে এবং ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ আলী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। এই পৌরসভায় ৫৫টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ৩১ হাজার ২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৩৭টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। চৌগাছা পৌরসভায়ও মেয়র পদে মাঠে রয়েছেন চার প্রার্থী। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল নৌকা, বিএনপি মনোনীত সেলিম রেজা আওলিয়ার ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এসএম সাইফুর রহমান বাবুল নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। এখানে ত্রিমুখী লড়াইয়ের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এ পৌরসভায় জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জামায়াত নেতা মাস্টার কামাল আহমেদ। এখানে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ পৌরসভায় মোট ১৪ হাজার ৮১৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।   বাঘারপাড়ায় পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান বাচ্চু নৌকা ও বিএনপির আবদুল হাই মনা ধানের শীষ নিয়ে এবং বিএনপির বিদ্রোহী আবু তাহের সিদ্দিকী জগ প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। এখানে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে এ পৌরসভায় স্বতন্ত্র খলিলুর রহমান নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। এখানে ৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ পৌরসভার মোট ভোটার ছয় হাজার ৩১৬ জন।  অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভায়ও মেয়র পদে থাকা তিন প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের সুশান্ত কুমার দাস শান্ত নৌকা, বিএনপির রবিউল হোসেন ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র হিসেবে (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ফারুক হোসেন জগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছে। এ পৌরসভার মোট ভোটার ৫৫ হাজার ১৬০ জন। এখানে ৩০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২০টিই গুরুত্বপূর্ণ। মনিরামপুরে পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন তিনজন প্রার্থী। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহামুদুল হাসান নৌকা ও বিএনপি মনোনীত শহীদ ইকবাল হোসেন ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে মূল লড়াই হবে। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মজিদ নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। এ পৌরসভায় ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ছয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে মোট ভোটার ১৯ হাজার ২৪৪ জন।    কেশবপুরে পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন দুই প্রার্থী। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী আবদুস সামাদ বিশ্বাস। এখানে ধানের শীষ ও নৌকার মধ্যে জোর লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। এ পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রের সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১৮ হাজার ৫২ জন ভোটার। মিলন রহমান/এআরএ/পিআর

Advertisement