বিশেষ প্রতিবেদন

ট্রেনযাত্রায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, বালাই নেই নিয়মের

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে গণপরিবহন এবং ট্রেন চলাচলে জনসমাগম ঘটায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী না নেওয়া, মাস্ক পরাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু সেসব নির্দেশনা এখন অনেকটাই উপেক্ষিত।

Advertisement

করোনায় ট্রেনে সিট ছাড়া ভ্রমেণের নিয়ম না থাকলেও মানা হচ্ছে না তা। আন্তঃনগর কিংবা কমিউটার- সব ট্রেনেই সিট ছাড়া উঠছেন যাত্রীরা। আন্তঃনগর ট্রেনে সিট ছাড়া টিকিট বিক্রি না হলেও কমিউটার ট্রেনে বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত টিকিট।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া একাধিক ট্রেনে এমন চিত্র দেখা যায়।

কমলাপুরে গিয়ে দেখা যায়, নেত্রকোণার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে টিকিট দিচ্ছেন টিকিট কালেক্টররা (টিটি)। সিট ছাড়া এসব টিকিটে দাঁড়িয়েই যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। করোনায় সিট ছাড়া টিকেট দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় টিকিট দিচ্ছেন তারা।

Advertisement

তবে আন্তঃনগর কোনো ট্রেনেই সিট ছাড়া টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। এরপরও টিকিট ছাড়াই ছাড়াই উঠছেন যাত্রীরা। তাদের কেউ কেউ ট্রেনে টিকিটের ব্যবস্থা করলেও অনেকেই টিকিট পান না, আবার অনেকে নেন না।

ট্রেনের ভেতরে দেখা যায, প্রতিটি আসনেই যাত্রী রয়েছে। প্রায় প্রতিটি কোচেই আবার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অসংখ্য যাত্রীকে। দাঁড়িয়ে এবং বসে থাকা যাত্রীদের অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের গফরগাঁওগামী যাত্রী মো. মামুন বলেন, করোনাতো চলেই গেলো। আর এমনিতেই মানুষের যে ভিড়, এসব মানার সুযোগ কই।

এ বিষয়ে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সোহরাব হোসেন বলেন, করোনায় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সিট ছাড়া কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। কিন্তু যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। প্রয়োজনের তাগিদে হয়তো টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠছেন তারা।

Advertisement

আরএসএম/ইএ/এসএইচএস/জিকেএস