রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মাসব্যাপী এ মেলার বাকি আর মাত্র তিন দিন। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি প্রধান ফটক ও রাস্তা নির্মাণ। তাই গভীর রাত জেগে পুরোদমে চলছে প্যাভিলিয়ন, স্টল তৈরি আর সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ। বাণিজ্য মেলার মাঠ পরিদর্শক মামুনুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, ইতোমধ্যে মেলার ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। যতটুকু কাজ এখনো বাকি আছে তা উদ্বোধনের আগেই শেষ হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এ বছর নিরাপত্তার স্বার্থে মেলায় সিসি ক্যামেরা থাকছে। বিভিন্ন পয়েন্টে মোট ৮০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ প্রয় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার সরেজমিন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠ পরিদর্শন করে দেখা গেছে, মেলায় এখনো কোনো প্যাভিলিয়ন, স্টলের কাজ পরিপূর্ণ শেষ হয়নি। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নের কাজ ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এদিকে মেলা প্রঙ্গণে দোকান ও মাঠের অবকাঠামো, নির্মাণকাজে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকান মালিক ও নির্মাণ শ্রমিকরা। বিশেষ প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার স্টলসহ সাজসজ্জার আর সৌন্দর্য বর্ধনে রাত জেগে কর্মরত রযেছেন শ্রমিকরা। রাত জেগে বিদেশি প্যাভিলিয়ন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত এক নির্মাণ শ্রমিক আবু বক্কর জাগো নিউজকে জানান, টানা চার দিন কাজ করছেন। গত দুই দিন রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে কাজ। পরিপূর্ণ শেষ হতে আরও তিন চারদিন সময় লাগবে। এদিকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৪৬টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিন ক্যাটাগরিতে মোট স্টল থাকবে ৩৪৭টি। জেনারেল, রিজার্ভ ও বিদেশি এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ১১২টি। এছাড়া থাকবে ৫৬টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৬টি ফুড স্টলসহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ। প্রতিবছরের মত এবারও বাণিজ্য মেলায় থাকছে বিদেশি স্টল। মেলায় বিশ্বের ২১টি দেশের মধ্যে নতুন দেশ হিসেবে অংশ নিচ্ছে মরিশাস ও ঘানা। তবে এ দুটি দেশ ছাড়াও থাকবে ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর,অস্টেলিয়া, বৃটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানী, নেপাল, হংকং, জাপান, আরব আমিরাত। বিদেশিদের প্যাভিলিয়ন থাকছে ৩৯টি। আর জেনারেল স্টল ২৬৬টি। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মত এবারও মেলার গেট হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মতো। মেলায় এবারও থাকছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ইকো পার্ক, ই-শপ, ই-পার্ক, ফুড কোর্ট, পর্যাপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, মসজিদ, পোস্ট অফিস, প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকছে অটিজম সেন্টার, মাদার কেয়ার সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।এছাড়াও ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে। একই সঙ্গে মেলায় থাকবে পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পাশাপাশি বিজিবি।এসআই/এসকেডি/পিআর
Advertisement