বেসরকারিখাতে পরিচালিত হয় কমিউটার ট্রেন মহুয়া। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে ট্রেনটি। আরামদায়ক ভ্রমণের কারণে বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ট্রেন যেমন যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়, তেমনি এই পথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের কাছেও কদর রয়েছে ‘গরিবের’ জনপ্রিয় বাহনখ্যাত মহুয়া কমিউটারের। তবে অভিযোগ রয়েছে, এই ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ২০ শতাংশই টিকিট না কেটে চলাচল করেন।
Advertisement
সোমবার (১৫ নভেম্বর) মহুয়া কমিউটারের টিকিট চেকার তাহের মিয়া কমলাপুর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর যাওয়ার সময় জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন।
তাহের বলেন, কিছু লোক টিকিট ছাড়াই উঠে পড়েন। তাদের আমরা পরে রিসিট বই থেকে টিকিট দেই। অনেক যাত্রী তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে ওঠার কারণে টিকিট কাটতে পারেন না। অনেকে আবার ইচ্ছা করেই টিকেট কাটেন না। হিসাব করলে দেখা যাবে, এই ট্রেনের ৮০ ভাগ যাত্রী টিকিট নিয়ে ওঠেন, আর ২০ ভাগ যাত্রী টিকিট কাটেন না।
টিকিট কাটা নিশ্চিত করতে কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি স্টেশনে আমাদের এজেন্ট থাকে। তাদের মাধ্যমে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করি। কিন্তু সবাইকে কাটানো সম্ভব হয় না।
Advertisement
লোকাল এই ট্রেনের অধিকাংশই বলতে গেলে ‘গরিব’ শ্রেণীর। তাদের অনেকের কাছে টিকিট কাটারও টাকা থাকে না। তাদের বিষয়ে কী করেন- জানতে চাইলে তাহের বলেন, যারা গরিব তাদের জন্য ছাড়ও দেই। যাত্রী দেখলেই বোঝা যায় তার সামর্থ্য (টিকিট কাটার) আছে কিনা।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে যাত্রীবাহী বাসের ভাড়া বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় কিছুটা চাপ বেড়েছে লোকাল ট্রেনগুলোতে। চাপ বেড়েছে কমলাপুর-মোহনগঞ্জ চলাচলকারী মহুয়া কমিউটারেরও।
আরএসএম/ইএ/জেআইএম
Advertisement