দেশজুড়ে

সাতকানিয়ায় বিএনপির প্রার্থীর উপর হামলা : আহত ২০

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলমের গণসংযোগ চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টা দিকে রফিকুল আলমের গাড়ি বহরে এ হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে জেলা বিএনপি। হামলার জন্য সরকার দলীয় প্রার্থী  মো. জোবায়েরের কর্মী সমর্থকদের দায়ী করেছেন গণসংযোগে থাকা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি জানান, উপজেলা সদরে বেলা ৩টার দিকে ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থনে মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলমের উপস্থিতিতে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে পথসভা শেষ করে পাশের এলাকায় যাওয়ার পথে স্বেচ্চাসেবক দলে উপজেলা সভাপতি সাইফুল আলম সুমন, এবং তার সহযোগী আবু সালেহ ও জহির রহমানের নেতৃত্বে গাড়ি বহরে লাঠিসোটা নিয়ে শতাধিক দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে আগে থেকে পুলিশ থাকলেও তারা হামলার সময় নিরব ছিলেন। এসময় সন্ত্রাসীরা বিএনপি প্রার্থী রফিকুল আলমের গাড়ি এবং অন্য দুটি পিকআপ ভাঙচুর করেছে। হামলায় উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল নঈম রিকু, যুবদল নেতা জকুুরিয়া, মহিলা দলের মুন্নি আক্তার এবং রফিকুল আলমের গাড়ি চালকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান বিএনপি নেতা শেখ মহিউদ্দিন।এ ব্যাপারে স্বেচ্চাসেবক লীগের দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও দলের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, আমি উপজেলা সদর থেকে দূরে গণসংযোগে আছি। বিএনপি প্রার্থীর উপর কোনো ধরণের হামলার খবর আমি শুনিনি। আর আমার লোকজন কারো উপর হামলা করবে না। তার পরও আমি আমার অফিসে গিয়ে খোঁজ নেবো।সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ উল­াহ বলেন, কোন হামলার ব্যাপারে কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ না করলে আমি কিভাবে জানবো।এ ব্যাপারে সাতকানিয়ার থানার ওসি (তদন্ত) মাহমুদুল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একই সময়ে উপজেলা সদরে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মিছিল মুখোমুখী হলে দুই গ্রুপে সংর্ঘষেবোধে। এসময় গাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।জীবন মুছা/এসকেডি/পিআর

Advertisement