প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ একজন ও নারী তিনজন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৯২২ জনে।
Advertisement
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২২৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৯১ জনে। এর আগের দিন (১৩ নভেম্বর) ছয়জনের মৃত্যু ও সংক্রমিত হন ১৫১ জন।
রোববার (১৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ-নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮৩৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজার ৪৭১টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৯ হাজার ৫১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ২২৩ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
Advertisement
এ নিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৯১ জন। নমুনা পরীক্ষা মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন সরকারি হাসপাতালে ও দুই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ একজন, ষাটোর্ধ্ব একজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা গেছেন।
বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনায় মৃত চারজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন ও চট্টগ্রাম বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাকি ছয় বিভাগে কেউ মারা যাননি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২১২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৫ জন। প্রতি ১০০ জনের বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
Advertisement
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস