দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। নিজ দেশে যেমন তার আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা তেমনি কলকাতায়ও। তার নাটক-সিনেমাগুলো সেখানকার দর্শক খুব উপভোগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভক্তদের বিরাট একটা অংশ কলকাতার।
Advertisement
মোশাররফ করিমের জনপ্রিয়তা ওপার বাংলার সিনেমাপাড়ায়ও। সেই সুবাদেই তাকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন নাট্যকার, অভিনেতা, নির্মাতা ও তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা ব্রাত্য বসু। ছবির নাম ‘ডিকশনারি’।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় সিনেমাটি। সেটি বেশ প্রশংসা পায় দুই বাংলায়।
তবে ছবিটি এবার শিরোনামে এলো ৫২তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়া থেকে বাদ পড়ে। ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্যানেরমা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছিল ‘ডিকশনারি’। কিন্তু পরিচালকের নামের বানানে সামান্য এদিক-সেদিক হওয়ার কারণে গোয়ার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সিনেমাটি।
Advertisement
তবে নামের বানানের অজুহাতটি মেনে নিতে পারছেন না ছবির পরিচালক। তার অভিযোগ, সিনেমাটি বাদ যাওয়ার পেছনে রয়েছে রাজনীতি ও বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন ব্রাত্য।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত ছিল বাংলার মোট পাঁচটি ছবি। সেই তালিকায় ছিল ‘ডিকশনারি’। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইমেল পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, পরিচালকের নামের বানান ভুল ছিল।
পোস্টারে ব্রাত্য বানানে ‘বি’র জায়গায় ‘ডি’ ছিল। এই একটি কারণেই উৎসব থেকে বাদ পড়েছে নাকি সিনেমাটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মোট ২৪টি সিনেমা দেখানোর কথা ছিল। তা থেকে মাত্র একটিই বাদ পড়েছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কী? আমাকে বলা হয়েছিলো ‘ডিকশনারি’ দেখানো যাবে না। অন্য কোনোও ছবি পাঠাতে হবে। কিন্তু শেষমুহূর্তে এভাবে বলা হলে, কিছু করার নেই।’
Advertisement
এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। অনেকে লিখছেন, ছবিটি রাজনীতির নোংরা শিকার। তাদের মতে, পরিচালক ব্রাত্য বসু তৃণমূলের নেতা। তাই গোয়ার ওই উৎসব থেকে বিজেপির লোকজন ‘ডিকশনারি’ ছবিটি প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোশাররফ করিমের পাশাপাশি ‘ডিকশনারি’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আবির চ্যাটার্জি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পৌলমি বসু, চিত্রনায়িকা নুসরাত জাহান। বুদ্ধদেব গুহর দু’টি ছোট গল্প ‘বাবা হওয়া’ ও ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
এমআই/এলএ/জেআইএম