নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। এর জেরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
Advertisement
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ও রাতে পূর্ব আবদুল্যাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উভয়পক্ষ একে অন্যকে দায়ী করছেন।
আহতরা হলেন- আজাদ (৪০), জামাল উদ্দিন (৪২), আব্দুল্যাহ আল মামুন রাব্বী (১৬) ও নিজাম উদ্দিনসহ (৩৮) ছয়জন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ন্যায় কুতুবপুরেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে মেম্বার পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে নুরুল হুদা আলমগীর বেসরকারিভাবে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মোরগ প্রতীকের নূর মোহাম্মদ মানিক।
Advertisement
ফলাফল ঘোষণার পর থেকে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্ব আবদুল্যাহপুর জামে মসজিদের সামনে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বিকেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হন।
নির্বাচিত ইউপি সদস্য নুরুল হুদা আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, নামাজের পরপর ভোটের বিষয় নিয়ে মসজিদের সামনে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায় মানিকের লোকজন। এ সময় আমার এক সমর্থককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। বিকেলে আবার আমার বাড়িতে হামলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমার ভাই জামাল উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, ভাতিজা রাব্বীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরাজিত প্রার্থী মানিক রাতে নিজের দোকানে আগুন দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার কোনো লোক জড়িত নই।
অপরদিকে পরাজিত প্রার্থী নূর মোহাম্মদ মানিক অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে পরিকল্পিতভাবে আলমগীর মেম্বারের লোকজন আমার দোকানে আগুন দিয়েছে। এতে দোকানে থাকা মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নির্বাচনের আগে নতুন করে ওই দোকানে তিন লাখ টাকার মালামাল তুলেছিলাম।
Advertisement
এসব বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, হামলা, সংঘর্ষ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসজে/এএসএম