ফিচার

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাত-পা যে ভাই-বোনের

বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ কোটিরও বেশি। একেকজন মানুষের চেহারা, গায়ের রং ও বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। কারো সঙ্গে কারোর কোনো মিল নেই। তবে কিছু কিছু মানুষ বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়, যা তাদের অন্যদের থেকে আরও বেশি আলাদা করে। এমনই মিশরের দুই ভাইবোন মোহাম্মদ ও হুদা শেহাতা। যারা বিশ্বরেকর্ডে নাম উঠিয়েছে তাদের বড় হাত-পায়ের জন্য।

Advertisement

একসঙ্গে ভাইবোনের উচ্চতা ৪১৪.৪ সেমি বা ১৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। যা লন্ডনের ডাবল-ডেকার বাসের মতো লম্বা! ডিনার প্লেটের চেয়েও বড় হাত ৩৪ বছর বয়সী মোহাম্মদের। তার বাম হাতের দৈর্ঘ্য ৩১.৩ সেন্টিমিটার বা ১২.৩২ ইঞ্চি।

যা জীবিত ব্যক্তি পুরুষের সবচেয়ে প্রশস্ত হাতের খেতাব অর্জন করেছে। এ ছাড়াও সবচেয়ে প্রশস্ত বাহু জীবিত ব্যক্তি পুরুষ ক্যাটাগরিতেও তার নাম রয়েছে। তার বাহুর পরিমাপ ২৫০.৩ সেন্টিমিটার বা ৮ ফুট বা ২.৫ ইঞ্চি।

অন্যদিকে মোহাম্মদের বোন হুদাও তিনটি রেকর্ড করেছে। সবচেয়ে বড় পা, বড় হাত, প্রশস্ত বাহু জীবিত ব্যক্তি নারী ক্যাটাগরিতে রয়েছে তার নাম। তার ডান পায়ের পরিমাপ ৩৩.১ সেমি বা ১ ফুট ১.০২ ইঞ্চি। তার বাম হাতের প্রশস্ত ২৪.৩ সেন্টিমিটার বা ৯.৫৬ ইঞ্চি। বাহু ২৩৬.৩ সেন্টিমিটার বা ৭ ফুট ৮.৪ ইঞ্চি।

Advertisement

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক কেনজি ডিফ্রাউই মিশরের একটি ক্লিনিকে এই ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনিই তাদের হাত-পায়ের মাপ নেন। এরপরই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রশংসাপত্র।

মোহাম্মদ এবং হুদা তাদের মা রুহির সঙ্গে মিশরের রাজধানী কায়রোর বাইরে একটি ছোট গ্রামে থাকেন। জন্ম থেকেই তাদের এমন শারীরিক সমস্যা ছিল না। তাদের পিটুইটারি গ্রন্থিতে একটি টিউমার রয়েছে। যা শরীরের বৃদ্ধির হরমোনের অতিরিক্ত উৎপাদন ঘটায়। এর ফলেই তাদের শরীরের কিছু কিছু অঙ্গ এমন অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়তে থাকে।

১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন হুদা। শৈশবে আর দশটা বাচ্চার মতোই স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছিল সে। তবে বয়স ১২ বছর হওয়ার পর সমবয়সীদের চেয়ে অনেক লম্বা হতে থাকেন তিনি। একইভাবে মোহাম্মদও ১২ বছর বয়সে লম্বা হতে শুরু করেন। তার উচ্চতার সঙ্গে হাত, পা, বাহুও অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে।

মোহাম্মদ ও হুদার জন্য আলাদা করে পোশাক তৈরি করতে হয়। তাদের উচ্চতা এখনও বাড়ছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য একটি অপারেশন করাতে হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

Advertisement

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/এএসএম