ইথিওপিয়ায় কর্মরত জাতিসংঘ বা আফ্রিকান ইউনিয়নের স্টাফদের, আইনভঙ্গ করলে শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটকের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ১১ নভেম্বর) এ হুঁশিয়ারি দিলো ইথিওপিয়ার সরকার। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিনা মুফতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জাতিসংঘের যেসব কর্মী ইথিওপিয়াতে বাস করেন তাদের উচিত দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। তারা ইথিওপিয়াতে বাস করেন, মহাকাশে নয়। জাতিসংঘ বা আফ্রিকান ইউনিয়নের কর্মী হোন না কেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এর আগে, নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ৯ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে জাতিসংঘের ১৬ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানান তিনি। তবে কি কারণে তাদের আটক করা হয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি দেশটির সরকার।
ইথিওপিয়ায় পুরো দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় গত ২ নভেম্বর। তাইগ্রের বিদ্রোহীদের আমহারা অঞ্চলের দুটি এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করার পর রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হওয়ার শঙ্কায় এ ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা কার্যকর করা হয় দেশটিতে। ফলে রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সামরিক বাহিনী যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেসব এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। ঘর থেকে বের হলেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছে দেশটির নাগরিকরা। কথিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কারো সম্পৃক্ততার সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত তাইগ্রের শত শত বিদ্রোহী আটক হয়েছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
সম্প্রতি তাইগ্রের বিদ্রোহীরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমহারা অঞ্চলের দেসি ও কোমবোলচা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বলে জানা গেছে। এই শহর দুটি রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে চারশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এসএনআর/জিকেএস