বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই জন এবং বিদ্রোহী সাতজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
Advertisement
জেলায় বৃহম্পতিবার (১১ নভেম্বর) একযোগে সকাল ৮টা থেকে ৯টি ইউনিয়নের ৮৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বিজয়ীদের মধ্যে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান ৫ হাজার ৭৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল বাশার পেয়েছেন ৪ হাজার ২ ভোট। সাহারবাটি ইউপিতে মশিউর রহমান (নৌকা) ৭ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাকিবুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯২ ভোট। তেঁতুলবাড়িয়াতে বিদ্রোহী প্রার্থী নাজমুল হুদা বিশ্বাস ৬ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোতালেব হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৬৮ ভোট। বামন্দী ইউপিতে ওবাইদুর রহমান (নৌকা) ৬ হাজার ৫২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল আওয়াল পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৯৩ ভোট। মটমুড়া ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল আহম্মেদ ১৮ হাজার ৩২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল হাশেম (নৌকা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০২ ভোট।
অপরদিকে মুজিবনগর উপজেলার চারটি ইউপিতে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে মহাজনপুর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু ৬ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা রেজানুর রহমান নান্নু পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৯ ভোট। বাগোয়ান ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী আয়ূব হোসেন ১২ হাজার ৭৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুতুব উদ্দীন (নৌকা) ১০ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। মোনাখালী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমান ৬ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার রফিকুল ইসলাম ৫ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়েছেন। দারিয়াপুর ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী এ.এস.এন মাহাবুব আলম ৩ হাজার ৯৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোস্তাকিম উল খোকন ২ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়েছেন।
Advertisement
আসিফ ইকবাল/ইএ