জাতীয়

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন-২০১৫ অনুমোদন

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) পরিচালনায় একটি আইন অনুমোদন করেছে সরকার। আইনের আওতায় একটি অধিদফতর গঠন করা হবে।সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।তিনি জানান, নতুন এই আইনের আওতায় বিএনসিসি অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১৯৫০ সালের একটি আইনের আলোকে বিএনসিসি চলছিল। কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন ছিল না, তাই নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।তিনি আরো বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের কার্যক্রম ও কাজের পরিধি বেড়েছে। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের পরিধি বিস্তৃত হওয়ায় একে আইনি কাঠামোতে এনে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে এ আইন করা দরকার ছিলো।সচিব বলেন, বিশেষ করে ছাত্রদের নিয়ে গঠিত এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির জন্য অধিদফতর গঠনের পর তা কীভাবে পরিচালিত হবে- সে বিষয়ে আইনে বিস্তারিত বলা হয়েছে।ঢাকার বিএনসিসি অধিদফতর হবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আইন অনুযায়ী ঢাকার বাইরে অধিদফতরের এক বা একাধিক শাধা প্রতিষ্ঠা করা যাবে।অধিদফতরের প্রধান হিসেবে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। জনবল কাঠামো সরকার অনুমোদন দেবে। এর একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে।তিনি আরো জানান, বিএনসিসিতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে সংযুক্ত বা প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা যদি শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেন, তবে নিজ বাহিনীর অধীনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিএনসিসিতে যুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে অধিদফতর বা কোরের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের কোনো সদস্য শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে কোরের বিধি অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর বিএনসিসিতে যুক্ত জনপ্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হবেন।বৈঠকে বাংলাদেশ ও থ্যাইল্যান্ডের মধ্যে পর্যটন বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছ মন্ত্রিসভা।এসএ/এআরএস

Advertisement