মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চারটি এবং গাংনী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুজিবনগর মহাজনপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোমরপুর পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর এজেন্টের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জের ধরে ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। এসময় প্রায় আধাঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে।
Advertisement
নৌকার প্রার্থী রেজাউর রহমান নান্নুর অভিযোগ, পুলিশ সদস্য শরিফ হাবিবুর রহমান তার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ আনারস প্রার্থীর এজেন্টরা ওই কেন্দ্রে জোর করে ভোট দিচ্ছিলেন। এসময় আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করি। তার অভিযোগ, পুলিশ সদস্যরা বিদ্রোহী প্রার্থীর টাকা খেয়ে নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন।
নৌকার প্রার্থী রেজাউর রহমান নান্নুর ভাষ্য, মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসেমসহ পুলিশ প্রশাসনের কিছু সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থী হোসেন মিলুর সমর্থনে কাজ করছেন। তাদের ইন্ধনেই আমার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে অপদস্থ করা হয়েছে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু বলেন, আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে জোর করে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়া হচ্ছিল। আমি উপস্থিত হলে দুই এজেন্টের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি দাবি জানাচ্ছি।
Advertisement
এ ব্যাপারে মুজিবনগর থানার ওসি আবুল হাসেম বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়েছে। এখানে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে। যা বলার তিনিই বলবেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- নুরুল ইসলামের ছেলে হিরন (১৭) এবং আব্দুল হাসেমের ছেলে আবু সাঈদ (১৬)।
গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার জহিরুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
সকাল ৮টা থেকে ৯টি ইউনিয়নে একযোগে ৮৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শেষ হবে বিকেল চারটায়।
আসিফ ইকবাল/এসআর/জিকেএস