নদীবেষ্টিতে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য বালু চর। এসব চরাঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন। চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছে ভুট্টা যেন গুপ্তধন। স্বপ্নের এই ফসল বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
Advertisement
সম্প্রতি নীলফামারী টাপুর চর, ঝিনঝির পাড়া, জুয়ার চর, কিসামত ছাতনাই, বাঘের চর, পূর্ব খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর, ফরেস্টের চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে দেখা গেছে কৃষকদের ভুট্টা রোপণের দৃশ্য।
সরজমিনে জানা যায়, নীলফামারীর বুক চিরে বয়ে গেছে তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, ইছামতি, যমুনাশ্বেরী, চাড়ালকাটা, চিকলিসহ বিভিন্ন নদ-নদী। এসব নদীর বুকে ভেসে উঠেছে শতাধিক বালুরচর। এগুলো চরে বসবাস করে কয়েক লাখ মানুষ। এসব মানুষ নানা ফসলের ওপর নির্ভশীল।
তাই অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এবছরেও চাষ করেছে সহস্রাধিক হেক্টর ভূট্টা। টাপুর চরে রিয়াজুল বলেন, এ বছরে ১৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগাচ্ছি। এটি আবাদে তেমন কোনো খরচ হয় না। শুধু বীজ, শ্রমিক ও নদী থেকে পানি মাঝে মাঝে দেওয়ার ব্যয়। তাই স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব এই ভুট্টা ফসল থেকে।
Advertisement
হাবিবুর নামের একজন কৃষক বলেন, তিন বিঘা (৯০ শতক) জমিতে ভুট্টা চাষাবাদে খরচ হয় প্রায় সাড়ে সাত হাজার থেকে দশ হাজার টাকা। এতে প্রায় ৭৫ থেকে ১২০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হয়ে থাকে। তাবে বাজারে দাম ভালো থাকলে ৫২ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
কৃষি অধিদপ্তরের নীলফামারী উপ-পরিচালক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, অত্যন্ত লাভজনক ফসল ভুট্টা। তাই এ ফসলে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাসহ কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। অধিক ফসল উৎপাদনে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
এমএমএফ/জিকেএস
Advertisement