জাগো জবস

২০ বছর বয়সেই ‘ব্র্যান্ডমশাই’ দিয়ে সফল সৌরভ

সফলতার স্বপ্ন বোনা যেমন সহজ; তেমনই সেই স্বপ্নকে ছোঁয়া খুবই কঠিন। জীবনের প্রতি বিভিন্ন মোহের কারণে সবাই বৃত্তের বাইরে চিন্তা করতে পারেন না। যারা পারেন, তারাই সফল। এমন একজন স্বপ্নবাজ ও উদ্যমী তরুণ ইসতিয়াক আহমেদ সৌরভ। যিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।

Advertisement

সৌরভ ২০০১ সালের ২৭ আগস্ট জামালপুরের সরিষাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই বড় হয়েছেন তিনি। বাবা সুলতান মাহমুদ এবং মা ইসমত আরা। কৃতিত্বের সাথে সৌরভ পিইসি, জেএসসি, এসএসসি শেষ করেন। ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন তিনি।

সবার আগে প্রযুক্তিই যেন সৌরভের নেশা-পেশা। প্রযুক্তির প্রতি এ ভালোবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে সৌরভের। গ্রামের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ১৫ বছর বয়সে ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইনে তার স্কিল ডেভেলপমেন্ট শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র ১৬ বছর বয়সে লোকাল মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে শুরু হয় ক্ষুদে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। সবার মতো সৌরভেরও কিছু করে দেখানোর প্রবল ইচ্ছে ছিল। সব সময় তার মাথায় বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া বা কনসেপ্ট ঘুরে বেড়াতো। একসময় নিজেই একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ‘ব্র্যান্ডমশাই’ নামে একটি ব্র্যান্ডিং ও ডিজিটাল এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেন।

সৌরভ বলেন, ‘ব্র্যান্ডমশাই হচ্ছে একটি ডিজিটাল এজেন্সি, যেখানে ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, ব্যবসার আইডিয়াসহ বিভিন্ন সমাধান পাওয়া যায়। ছোট-খাটো, কম-বেশি অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি আছে, যারা সঠিক ব্র্যান্ডিংয়ের কারণে সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেন না। হারাচ্ছেন ক্রেতা বা গ্রাহক। তারা যেন সহজেই ব্যবসাকে দ্রুত প্রসার করাতে পারেন, সে সমাধানই দিচ্ছে ব্র্যান্ডমশাই।’

Advertisement

এছাড়া ‘ব্র্যান্ডমশাই’ প্রতিনিয়তই প্রোভাইড করছে সুন্দর সুন্দর ব্র্যান্ডেবল ডোমেইন নাম, যা অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে আপকামিং স্টার্টআপদের। তিনি বলেন, ‘শুরুটা কখনো সহজ হয় না। তবুও ছোট থেকে বাবা-মা, পরিবারের সমর্থন পেয়েছি বলে অনেক সহজেই এগোতে পেরেছি। প্রযুক্তির প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোবাসা ছিল। সেটাই হয়তো আমাকে সাফল্য দিয়েছে।’

তরুণদের উদ্দেশে সৌরভ বলেন, ‘আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর সময় ব্যয় করছি। সময়টুকু যদি নতুন কিছু জানা বা শেখার পেছনে ইনভেস্ট করা যেত তাহলে অনেকেই হয়তো স্বপ্নের চেয়েও বহুদূর যেতে পারতাম। বর্তমানে অনলাইনে কোটি কোটি ফ্রি রিসোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ই-বুক বা ব্লগ আর্টিকেল, অডিও বুক ইত্যাদি আছে। তাই শেখার মাধ্যম আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘একটু বৃত্তের বাইরে চিন্তা আর চেষ্টা করলেই হয়তো সুন্দর সুন্দর সব স্কিল আয়ত্তে আনা সম্ভব। বর্তমানে চাকরির অবস্থা কী করুণ, তা হয়তো সবারই জানা। স্কিল বা দক্ষতা থাকলে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না। নিজেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে গড়ে তুলতে পারবেন সুন্দর ক্যারিয়ার।’

এলএ/এসইউ/জিকেএস

Advertisement