পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন, আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। বুধবার (১০ নভেম্বর) পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতিকে এসব কথা বলেন তিনি।
Advertisement
আর্মি পাবলিক স্কুলে (এপিএস) হত্যাকাণ্ডের মামলার শুনানিতে যোগ দেওয়ার জন্য দেশটির উচ্চ আদালত তাকে তলব করে। পরে ইমরান খান আদালতে হাজির হন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপস্থিতিতে বিচারপতি ইজাজ উল আহসান বলেন, নিহত শিশুদের অভিভাবকরা এপিএস হত্যাকাণ্ডের সময়কার শাসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এর জবাবে ইমরান খান বলেন, যখন ওই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল তখন তার দল খাইবার পাখতুনখোয়ায় ক্ষমতায় ছিল। সন্ত্রাসী হামলার পর তিনি হাসপাতালে শোকাহত বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যেহেতু তারা ট্র্যাজেডির মধ্যে ছিলেন তাই তাদের সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ইমরান খান।
Advertisement
প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, নিহতদের বাবা-মা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইছেন না। অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তখন কোথায় ছিল।
এরপর ইমরান খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চালু করা হয়েছিল। পাকিস্তানে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নেই। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছি। কিন্তু সে সময় প্রায় প্রতিদিন পাকিস্তানে বোমা হামলা হতো।
উচ্চ আদালত তখন জানান, ওই হামলায় নিহত শিশুদের অভিভাবকদের কথা সরকারকে শুনতে হবে ও অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। হামলায় যারাই জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এরপর ইমরান খান আদালতকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্যরা পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে হামলা চালায়। এতে ১৪০ জনের বেশি নিহত হয়। যাদের অধিকাংশই ছিল স্কুল শিক্ষার্থী। তখন যারা পাকিস্তানের নেতৃত্বে ছিলেন উচ্চ আদালতে তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
Advertisement
এমএসএম/টিটিএন/এএসএম